রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট: শুনানিতে হাইকোর্ট বেঞ্চের অপারগতা

আওয়ামী লীগ, সাহাবুদ্দিন চুপ্পু, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ওবায়দুল কাদের,
মো. শাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

একজন সদস্য 'বিব্রত' বোধ করায় মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে করা রিট আবেদনের শুনানি করতে অপারগতা জানিয়েছেন একটি হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আজ রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের বেঞ্চ এই রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর কাছে পাঠানোরও নির্দেশ দেন।

রিট আবেদনকারী অ্যাডভোকেট এম এ আজিজ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে পরিচিত হওয়ায় বিচারপতি আহমেদ সোহেল বিব্রত বোধ করেছেন।

প্রধান বিচারপতি রিট আবেদনটির শুনানির জন্য হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ নিয়োগ করবেন বলেও জানান তিনি।

মো. শাহাবুদ্দিনকে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।

আবেদনে তিনি মো. শাহাবুদ্দিনকে দেশের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি ঘোষণার গেজেট প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেন।

এম এ আজিজ খান বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ৯ অনুযায়ী, মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ করা যাবে না কারণ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৩ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মো. সাহাবুদ্দিন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

'নির্বাচিত' এবং 'নিযুক্ত' শব্দের অর্থ একই উল্লেখ করে আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসাবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করলে তিনি নির্বাচিত হতে পারতেন না।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদনের শুনানি হতে পারে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাহাবুদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ ২৪ এপ্রিল শেষ হবে। দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ থেকে ৬০ দিন আগে এই নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Jamaat welcomes polls timeline, criticises Yunus for skipping dialogue before announcement

Expected chief adviser to hold discussions with parties regarding announcing the election timeline, it says

3h ago