রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট

মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খানের রিট আবেদনে রাষ্ট্রপতি ঘোষণার গেজেট বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনকারী এম এ আজিজ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ধারা ৯ অনুযায়ী, মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগ করা যাবে না কারণ তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন অবসরপ্রাপ্ত কমিশনার এবং রাষ্ট্রপতির পদটি লাভজনক।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৩ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মো. সাহাবুদ্দিন প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন, তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

'নির্বাচিত' এবং 'নিযুক্ত' শব্দের অর্থ একই উল্লেখ করে আইনজীবী এম এ আজিজ খান বলেন, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থী হিসাবে মো. সাহাবুদ্দিনের মনোনয়নপত্র যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করলে তিনি নির্বাচিত হতে পারতেন না।

তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টে আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

অবসরপ্রাপ্ত বিচারক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার মো. সাহাবুদ্দিনকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সাহাবুদ্দিন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ ২৪ এপ্রিল শেষ হবে। দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ থেকে ৬০ দিন আগে এই নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Health Sector Reform Commission submits report to Yunus

Calls for constitutional obligation of primary healthcare

35m ago