আরাভ খানের নামে কোটালীপাড়া থানায় ধর্ষণ-হত্যা-অস্ত্রসহ ৯ মামলার ওয়ারেন্ট

আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

হত্যা মামলার পলাতক আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বাবা ছিলেন একজন ফেরিওয়ালা। তিনি ভাঙারির ব্যবসা করতেন। এলাকায় শুধু একটি ঘর আর ১ থেকে ২ বিঘা জমি। কয়েকদিন আগে আরাভ তার পুরো পরিবারকে দুবাই নিয়ে গেছেন।

আরাভ খানের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের আশুতিয়া গ্রামে।

তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া থানাতেই ৯টি মামলার ওয়ারেন্ট আছে।

কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও হিরণ ইউনিয়নের আশুতিয়া ওয়ার্ড সদস্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বর্তমান সময়ে আলোচিত আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কোটালীপাড়া থানায় ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, চুরি, প্রতারণা হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ৯টি মামলার ওয়ারেন্ট আছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নেই। পলাতক আছেন।'

হিরণ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুদ্দিন মোল্লা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আরাভ খানের বাড়ি কোটালীপাড়ার আশুতিয়া গ্রামে। বাবার নাম মতিউর মোল্লা। আরাভ ছোট বেলায় বাগেরহাটের চিতলমারিতে থাকত। আশুতিয়া গ্রামে খুব অল্প সময় থেকে আরাভ ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় তার নামে বিভিন্ন মামলার বিষয়ে শুনি। পরে জানতে পারি সে দুবাই চলে গেছে। মাঝেমধ্যে শুনি সে আমেরিকা, ইউরোপ যায়। কিছুদিন আগে তার বাবা-মা ও ২ বোনকে দুবাই নিয়ে গেছে। আরাভের একটি ছেলে সন্তান আছে। সে দাদা-দাদির সঙ্গেই থাকত। তাকেও দুবাই নিয়ে গেছে।'

এই ইউপি সদস্য বলেন, 'আরাভ ৪ থেকে ৫ বছর আগে বাড়ি এসেছিল। পুলিশ হত্যা মামলার পর সে ভারতে পালিয়ে যায়। খুনের মামলার পরেও সে কিন্তু গোপনে কোটালীপাড়ায় এসেছিল বলে শুনেছি। তবে আমার সঙ্গে দেখা হয়নি। আমার সঙ্গে তার ৫ থেকে ৬ বছর আগে দেখা হয়েছে।'

আরাভ খানের পারিবারিক অবস্থা জানতে চাইলে সাইফুদ্দিন মোল্লা বলেন, 'তারা অনেক গরিব একটা পরিবার। আরাভের বাবা আগে চিতলমারিতে ফেরি (ভাঙারির ব্যবসা) করতেন। কোটালীপাড়ায় আসার পর তার বাবা তেমন কিছু করতেন না। আরাভের টাকা দিয়েই চলতেন। কোটালীপাড়ায় তেমন কিছু করেনি। ১ থেকে ২ বিঘা জমি আছে। একটি ঘর আছে। উপরে টিন নিচে প্লাস্টার করা।'

'আরাভ কীভাবে অল্প সময়ের মধ্যে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন, এটি নিয়ে এখন গ্রামের মধ্যে আলোচনা চলছে', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

10h ago