পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা: আরাভ খানসহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে হত্যার দায়ে রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানসহ আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
দুবাইতে স্বর্ণের দোকান পরিচালনাকারী আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
অন্য দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া, মামুনের বন্ধু রহমত উল্লাহ, স্বপন সরকার, দিদার পাঠান, মিজান শেখ, আতিক হাসান এবং সারোয়ার হোসেন।
তাদের মধ্যে আরাভ খান এবং তার স্ত্রী পলাতক এবং অন্য ছয়জন কারাগারে আছেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন আদালত কক্ষে ছয় আসামির উপস্থিতিতে সাজা ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী জহিরুল ফয়েজ।
রায়ে বিচারক বলেছেন, রাষ্ট্রপক্ষ আরাভ খান এবং অন্যদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নিঃসন্দেহে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং তাদের এই ধরনের অপরাধের দায়ে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
পলাতক আসামিদের শাস্তি তাদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে বলে বিচারক তার রায়ে বলেছেন।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষ তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন এবং আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ ২৬ জন সাক্ষীর বক্তব্য রেকর্ড করেন।
২০১৮ সালের ৮ জুলাই রাজধানীর বনানীর একটি ফ্ল্যাটে এসবি ইন্সপেক্টর মামুন এমরান খানকে হত্যা করা হয়। পরদিন গাজীপুরের একটি জঙ্গল থেকে তার পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়।
মামুন ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশে সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে যোগ দেন ২০১৫ সালে তাকে ইন্সপেক্টর পদে পদোন্নতি দিয়ে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়।
ঘটনার প্রায় চার মাস আগে তাকে ঢাকায় বদলি করা হয়।
পুলিশে চাকরি করার পাশাপাশি মামুন নাটক ও টেলিফিল্মেও অভিনয় করেছেন।
২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। একটি আরাভ খানসহ আটজনের বিরুদ্ধে এবং অন্যটি দুই নাবালকের বিরুদ্ধে।
আদালত ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
২০২৩ সালের ৯ মে ঢাকার আরেকটি আদালত ২০১৫ সালে দায়ের করা অস্ত্র মামলায় আরাভ খানকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেযন।
দুই নাবালকের বিরুদ্ধে মামলা ঢাকার কিশোর আদালত-৭-এ বিচারাধীন রয়েছে।
Comments