আরাভ খানের প্রতারণা নিয়ে প্রতিবেদন: লাইভে এসে ডেইলি স্টারকে ‘অভিশাপ’

আরাভ খানের প্রতারণা নিয়ে প্রতিবেদন: লাইভে এসে ডেইলি স্টারকে ‘অভিশাপ’
আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ হত্যা মামলার পলাতক আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ফেসবুক লাইভে এসে দ্য ডেইলি স্টারকে 'অভিশাপ' দিয়েছেন তিনি।

'যেভাবে দুবাই প্রবাসীদের টাকা হাতিয়ে নেন আরাভ খান' শিরোনামে ডেইলি স্টারে ওই প্রতিবেদনের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টটির বিরুদ্ধে রিপোর্ট করার আহ্বান জানান তিনি। সেই সঙ্গে, ফলোয়ারদের তিনি তার পক্ষে ভিডিও বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার করতে বলেন।

এর আগে, প্রবাসীদের মরদেহ দেশে পাঠানোর নামে প্রতারণার অভিযোগে গত মাসে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন আরাভ খানকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরে তার অনুসারীরা রিপোর্ট করলে সেই প্রতিবেদনটি ফেসবুক থেকে ডিলিট করা হয়।

আরাভ খান তার ফলোয়ারদের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বলেন, 'এখন আমার ভিডিও চাই। আপনারা ভিডিওতে বলবেন আমরা যতটুকু চিনি আরাভ ভাই সারাজীবন মসজিদ-মাদ্রাসায় দান করে আসছেন। আমরা সাংবাদিক ভাইদের ঘৃণা জানাই।'

আরেকটি অডিওতে আরাভ খান প্রধানমন্ত্রীর কথা উল্লেখ করে বলেন, তাকে তিনি সব পাঠাবেন। তার পাঠানোর জায়গা আছে, তাই ভক্তরা যেন তার পক্ষে সুন্দর সুন্দর ভিডিও করে।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর ১০ ভুক্তভোগী অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে আরাভ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন এবং তাদের অর্থ ফেরত পেতে বাংলাদেশ মিশনের হস্তক্ষেপ চান।

দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকান চালু করে সম্প্রতি আলোচনায় আসেন আরাভ খান। তিনি পুলিশ কর্মকর্তা মামুন ইমরান খান হত্যা ও একটি অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি। হত্যা মামলা দায়েরের পর তিনি ভারতে পালিয়ে যান এবং 'আরাভ খান' নামে ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।

গোপালগঞ্জের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বর্তমানে আরাভ খান পরিচয়েই ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দুবাইয়ে থাকছেন। তিনি ৩৭ দিনের জন্য দুবাইতে ইন্টারপোলের হাতে গ্রেপ্তার থাকলেও ভারতীয় নাগরিক হওয়ায় বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারেনি।

অভিযোগ অনুযায়ী, দুবাইপ্রবাসী তরিকুল ইসলামের কাছ থেকে এক লাখ ৭৮ হাজার দিরহাম, আয়নাল সিপাত আলীর কাছ থেকে এক লাখ ৩১ হাজার দিরহাম, ইউসুফ আলীর কাছ থেকে ৩৭ হাজার ৫০০ দিরহাম, মোহাম্মদ রাফসান জনির কাছ থেকে ৩১ হাজার ৫০০ দিরহাম, হাসান খানের কাছ থেকে ২৫ হাজার দিরহাম, ইশতিয়াক আহমেদের কাছ থেকে ১০ হাজার দিরহাম, মো. সাব্বিরের কাছ থেকে ১০ হাজার দিরহাম ও সারোয়ার আহমেদের কাছ থেকে পাঁচ হাজার দিরহাম আত্মসাৎ করেছেন আরাভ খান।

দুবাইতে বাংলাদেশ মিশনের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের পরামর্শে ভুক্তভোগীরা দুবাইতে ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেও কোনো লাভ হয়নি।

ডেইলি স্টারের কাছে গত নভেম্বরের একটি ভিডিও এসেছে, যেখানে আরাভ খান পাওনাদারদের তোপের মুখে পড়ে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলেন। একপর্যায়ে হাতাহাতির দৃশ্যও দেখা যায় সেই ভিডিওতে।

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

10h ago