‘আরাভকে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন সময় এবং আমিরাত-ভারতের সহযোগিতা’
হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামকে দুবাই থেকে ফিরিয়ে আনতে সময় লাগবে। কেননা, এ ক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন।
ইন্টারপোলের অভিযানের বিষয়ে অবগত এমন এক আইন বিশেষজ্ঞ ও পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন, ২০১৮ সালে পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আরাভকে ফিরিয়ে আনার ২টি পথ আছে। একটি—আরব আমিরাত ও ভারতের সহযোগিতা এবং অন্যটি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর (এনসিবি) সমন্বিত প্রচেষ্টা।
আরাভ খান নাম নিয়ে রবিউল ইসলাম সম্প্রতি দুবাই যান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত ১৫ মার্চ সেখান পলাতক আরাভের আমন্ত্রণে তার স্বর্ণালঙ্কারের দোকান উদ্বোধন করতে যান ক্রিকেট তারকা সাকিব আল হাসান। এরপর সেখানে অব্যবস্থাপনা দেখে সাকিব হোটেলে ফিরে আসেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (খিলগাঁও জোন) অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহিদুর রহমান জানান, পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) তৎকালীন পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলায় ডিবি পুলিশ ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রবিউল ইসলাম ও আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।
২০১৮ সালের ৭ জুলাই মামুন এমরান খানকে হত্যার পরপরই রবিউল ভারতে পালিয়ে যান। ২০২০ সালে তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট জোগাড় করে সেখান থেকে দুবাইয়ে চলে যান। আগামী বছর পর্যন্ত সেখানে রবিউলের রেসিডেন্স পারমিট আছে।
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, অভিযুক্ত রবিউলকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে গেলে আরব আমিরাতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ভারতকে অনুরোধ করতে হবে, যাতে আরব আমিরাত তাকে ভারতে ফেরত পাঠায়। কেননা, তিনি ভারতীয় পাসপোর্টে সেখানে গিয়েছেন।
এরপর, রবিউলকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হলে তাকে সেখানে অনুপ্রবেশ ও অসৎ উপায়ে ভারতীয় পাসপোর্ট নেওয়ায় আইনি ব্যবস্থার মোকাবিলা করতে হবে।
খুরশিদ আলম খান আরও বলেন, 'ভারতীয় আদালত রবিউলকে প্রায় ৬ মাসের সাজা দিতে পারে। সেই সাজা ভোগের পর ভারত তাকে বাংলাদেশে পাঠাবে, যদি তিনি সত্যই বাংলাদেশের নাগরিক হোন।'
তার মতে, এসব প্রক্রিয়া শেষ করতে বেশ কিছু সময়ের প্রয়োজন। তবে অভিযুক্ত রবিউলকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
বিদেশে পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইন্টারপোলের মাধ্যমে রবিউলকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে এ জন্য সময় প্রয়োজন।
তিনি জানান, ইন্টারপোলের সব কাজ দেখভাল করে এনসিবির বাংলাদেশ শাখা। এই সংস্থাকে এর নয়াদিল্লি ও দুবাই শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। যেহেতু রবিউল বাংলাদেশের নাগরিক হয়েও ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই গিয়েছেন।
'পলাতক অভিযুক্ত ব্যক্তিটিকে ফিরিয়ে আনতে এই ৩ দেশের এনসিবির সহযোগিতা প্রয়োজন," যোগ করেন তিনি।
Comments