পটুয়াখালীর ২ সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

সাইফুল ইসলাম ও সাদ্দাম হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ প্রকাশের জেরে পটুয়াখালীতে দৈনিক যুগান্তরের ২ সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় যুগান্তরের মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেন ও দুমকি উপজেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম নিরাপত্তা চেয়ে থানায় আলাদা আলাদাভাবে সাধারণ ডায়রি (জিডি) ও অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুমকি প্রেসক্লাবে গত ১৭ মার্চ শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন সুমন জমি জবরদখলসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে জলিশা গ্রামের বাসিন্দা মাসুদ আল মামুন বাবুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। ওই সংবাদ প্রকাশের জেরে মাসুদ আল মামুন ১৯ মার্চ বিকেলে সাইফুল ইসলামকে উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন এলাকায় একা পেয়ে গালিগালাজ করেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে তিনি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রি করেন।

দুমকি প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জিডি প্রত্যাহার করে বাবুর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান।

এ ব্যাপারে মাসুদ আল মামুন বাবুর সঙ্গে কথা বলার জন্য তার মোবাইলে কল দিলে তিনি ফোন ধরেননি।

দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, 'উভয়েই থানায় সাধারণ ডায়রি করেছেন। তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এদিকে যুগান্তরের মির্জাগঞ্জ উপজেলার (দক্ষিণ) প্রতিনিধি ও মির্জাগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সাদ্দাম মির্জাগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে অভিযুক্ত মাধবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান লাভলুও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

জানা যায়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত যুগান্তরে প্রকাশিত ৩টি প্রতিবেদনে বিভিন্ন অনিয়মের সঙ্গে মাধবখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লাভলুর সংশ্লিষ্টতার তথ্য আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মার্চ লাভলু ও তার ভাই কাজী মশিউর রহমান বাবলু ১০-১৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে সাদ্দাম হোসেনকে গালিগালাজ করেন ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে সাদ্দাম গতকাল বুধবার মির্জাগঞ্জ থানায় লাভলুসহ তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।

এ বিষয়ে কাজী মিজানুর রহমান লাভলু বলেন, 'যুগান্তর প্রতিনিধি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছেন তা মিথ্যা।'

মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'এ ঘটনায় আমরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago