চুরির অপবাদ দিয়ে কলেজশিক্ষার্থীকে নির্যাতন, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা
কক্সবাজারের উখিয়ায় সুপারি চুরির অপবাদ দিয়ে এক কলেজশিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বহিষ্কৃত এক যুবলীগ নেতাকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
নির্যাতনের শিকার রায়হান (১৯) কক্সবাজার সিটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ফজল কাদের উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াপালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া এলাকায় গত শনিবার সন্ধ্যায় ফজল কাদেরের নেতৃত্বে ৪-৫ জন রায়হানকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। তারা তাকে ফজল কাদেরের বাড়িতে প্রায় ২ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করে।
পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় রায়হানকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রায়হান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'চুরির অপবাদ দিয়ে ফজল কাদের ও তার ভাগিনাসহ ৪-৫ জন সন্ত্রাসী আমাকে তুলে নিয়ে তাদের বাড়িতে একটি গাছের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে অমানবিকভাবে মারধর করে। বিদ্যুতের তার ও লোহার রড দিয়ে পেটানোর এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি।'
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, রায়হানের পিঠ, মুখ ও পেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন আছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফজল কাদেরকে ফোন করা হলে তার বড় ভাই পরিচয়ে আজিজুল হক আজিজ রিসিভ করেন। তিনি বলেন, 'আমার ভাইকে মামলায় জড়ানোর জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সে মারধরের ঘটনায় জড়িত না। রায়হানকে চুরির সময় হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। তাকে কোনো প্রকার মারধর করা হয়নি।'
জেলা যুবলীগ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ইয়াবা চোরাকারবারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ফজল কাদেরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে জালিয়াপালং ইউনিয়নের কমিটি বাতিল করে কক্সবাজার জেলা যুবলীগ।
একই বছরের সেপ্টেম্বরে র্যাবের ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় রামু থানায় দায়ের করা একটি মামলার আসামিও ছিলেন তিনি।
জানতে চাইলে ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কলেজশিক্ষার্থী রায়হানকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা এজাহার দায়ের করেছেন। এজাহারটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
Comments