স্কুলশিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা

দায়িত্বে অবহেলায় এসআইয়ের শাস্তির সুপারিশ

চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত ২
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় তদন্তে গাফিলতি, অবহেলা ও অসদাচরণ করায় পাহাড়তলী থানার এক উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করছে নগর পুলিশের তদন্ত কমিটি।

অভিযুক্ত এসআই দুলাল মিয়ার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে সিএমপি সদর দপ্তরের একটি সূত্র।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিট গত ২৯ মার্চ সকালে বন্দরনগরীর পাহাড়তলী এলাকার ডোবা থেকে ২১ মার্চ থেকে নিখোঁজ ৯ বছরের স্কুলশিক্ষার্থীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করে। আলমতারা মুরগির ফার্ম এলাকার একটি পুকুরে প্লাস্টিকের বস্তার ভেতর তার মরদেহ পাওয়া যায়।

পিবিআই জানিয়েছে, বিড়াল ছানার লোভ দেখিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পূর্বে তাকে ধর্ষণ করা হয় এবং ঘটনার দিন ২১ মার্চ রাতে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয়।

ওই শিক্ষার্থী নিখোঁজের পর ২১ মার্চ রাতে তার পরিবার পাহাড়তলী থানায় জিডি করলে তদন্তভার পড়ে এসআই দুলালের ওপর।

পরে শিক্ষার্থীর মা ২৮ মার্চ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সন্দেহভাজন সবজি বিক্রেতা রুবেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

সেই শিক্ষার্থীর পরিবার অভিযোগ করে, পুলিশ সন্দেহভাজন রুবেলকে জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ছেড়ে দিয়েছে।

আদালতে মামলার পর রুবেলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর, এসআই দুলালকে দামপাড়া পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়।

সিএমপি সদর দপ্তরের উপকমিশনার (ডিসি-ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) নিষ্কৃতি চাকমার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি-পিআর) স্পিনা রানী প্রামাণিক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কাউন্টার টেরোরিজমের (সিটি) এডিসি আসিফ মহিউদ্দিন এসআই দুলালের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করেছেন। রিপোর্ট জমা দিলে এ বিষয়ে বলা যাবে।'

সিএমপি সদর দপ্তরের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, এডিসি আসিফ নিখোঁজ ডায়রি তদন্তের ক্ষেত্রে অবহেলার জন্য এবং অসদাচরণের জন্য এসআই দুলালকে দোষী সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনে এডিসি ১২ জনের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

আসিফ মহিউদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'যেকোনো স্পর্শকাতর ঘটনা অনুসন্ধান করার সময় পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়। আলোচিত মিসিং জিডি অনুসন্ধানের সময় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে কিনা তা নিরূপণপূর্বক সুনির্দিষ্ট মতামতসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আমি রিপোর্ট প্রদান করেছি।'

তবে এ বিষয়ে তিনি বেশি কিছু জানাতে অস্বীকার করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh races to expand air cargo capacity

In a first move to address the shortfall, Sylhet's Osmani International Airport is set to launch dedicated cargo operations today

10h ago