ভান্ডারিয়ায় উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, আহত ১৫
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এতে ২ পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর ভান্ডারিয়া শহরে পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
সংঘর্ষের জেরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ফেস্টুন ভাঙচুর, বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নে জেপির ইফতার পার্টি থেকে এ সংঘর্ষের সূচনা হয়। এরপর তা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিরাজুল ইসলাম এবং জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
ভান্ডারিয়া উপজেলা জেপির সাধারণ সম্পাদক মো. আতিকুল ইসলাম উজ্জ্বল জানান, ইউনিয়ন পর্যায়ে জেপির ইফতার পার্টি আয়োজনের অংশ হিসেবে তারা তেলিখালী ইউনিয়নে সোমবার ইফতার পার্টির আয়োজন করে। ইফতার পার্টি থেকে ফেরার পথে তেলিখালী ইউনিয়নের জুনিয়া গ্রামের মির্জা বাড়ির সামনে তাদের গাড়ি বহরে মিরাজুল ইসলামের লোকজন হামলা করে তাদের ৫টি গাড়ি ভাঙচুর করে।
তাদের সঙ্গে থাকা ২ জন আহত হয়েছে বলে জানান আতিকুল ইসলাম।
এ ঘটনার পর বিভিন্ন স্থানে মিরাজুল ইসলামের ছবি সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুর এবং উপজেলা শহরের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ভান্ডারিয়া শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
তবে মিরাজুল ইসলামের ফেস্টুন ভাঙচুর এবং বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উজ্জ্বল।
অন্যদিকে মিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জেপির ইফতার পার্টিতে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ ও জেপির কর্মীদের মধ্যে সামান্য দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এরপর জেপির লোকজন ভান্ডারিয়ায় ফেরার পথে তার ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন, বাসভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালায়। এ সময় তার ১৩ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলেও দাবি করেন মিরাজুল ইসলাম।
আহতদের ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আশিকুজ্জামান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার পর মাঠে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব সদস্যরাও অবস্থান করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
Comments