১৯৫ কোটি টাকা পাচার মামলায় ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দিতে হবে না সম্রাটকে

গ্রেপ্তারের পর যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। স্টার ফাইল ফটো

মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

সম্রাটকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য তার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আবেদন করার পর ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান আজ এই আদেশ দেন।

এর আগে গত বছরের ১০ এপ্রিল শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকার আরেকটি আদালত সম্রাটকে জামিন দেন।

মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ২০২০ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রমনা মডেল থানায় সম্রাটের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মাদক ও অস্ত্র রাখার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা আরও ৩টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।

সিআইডি তাদের প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) বলেছে, অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সম্রাট বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের সহায়তায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করেছেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সম্রাট ৩৫ বার সিঙ্গাপুরে, মালয়েশিয়ায় ৩ বার, দুবাইয়ে ২ বার এবং একবার হংকংয়ে গেছেন।

সিআইডির তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ক্যাসিনো ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং অন্যান্য অবৈধ উপায়ে সম্রাট অর্থ উপার্জন করে তা পাচার করেছেন।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর র‌্যাব সদস্যরা সম্রাট এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাবেক যুবলীগ নেতা এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সীমান্তের কাছে একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে।

ঢাকার বিভিন্ন স্পোর্টিং ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনোগুলোতে র‍্যাব অভিযান চালানোর পর সম্রাট আলোচনায় আসেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাকে।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago