বেসিক ব্যাংক অর্থ আত্মসাতের ৫৯ মামলায় সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

বেসিক ব্যাংকের লোগো। ছবি: ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বেসিক ব্যাংকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা ৫৯টি মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৪৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানান, ১৪৭ আসামির মধ্যে ৪৬ জন ব্যাংক কর্মকর্তা ও ১০১ জন গ্রাহক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে আবদুল হাই বাচ্চু বেসিক ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন ব্যাংক থেকে প্রায় সাড়ে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ ১৪৫ টাকা পাচার হয়েছে।

তদন্তকারী কর্মকর্তারা হলেন দুদকের পরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম, উপপরিচালক মোঃ মোনায়েম হোসেন, উপপরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক ও উপপরিচালক মোঃ গুলশান আনোয়ার প্রধান। 

এর আগে ২০২২ এর নভেম্বরে বেসিক ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারি তদন্ত শেষ করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ৩ মাসের সময় বেঁধে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করে বিচারিক আদালতে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয় সংস্থাটিকে।

সে সময় বেসিক ব্যাংকের বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ এবং গত ৭ বছরে দায়ের করা ৫৬টি মামলার কোনোটিরই অভিযোগপত্র জমা দিতে না পারায় দুদকের ব্যর্থতায় হতাশা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

২৮ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ হতাশা প্রকাশ করেন।

বেঞ্চ বলেন, কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। কিন্তু, দুদক এবং এতো বিচারক ও আইনজীবী থাকা সত্ত্বেও কোনো কাজ হচ্ছে না। তারা (দুদক) নীরব কেন? এটা অনেকটা নাটকের মতো। আমরা নাটক দেখছি। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

দুদক এক প্রতিবেদনে জানায়, ঋণ কেলেঙ্কারির মামলার তদন্ত শেষ করতে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ, সম্পূর্ণ নগদে টাকা তুলে মামলায় উল্লেখ করা আত্মসাৎকৃত অর্থের অবস্থান গোপন করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt employees to get dearness allowance

The announcement may come in next budget

51m ago