১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ: স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রায় ১২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ায় বাংলাদেশ কাস্টমসের সাবেক এক রাজস্ব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল মালেক।

মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাজারী, তার স্ত্রী সেলিনা আকতার ও কন্যা সাদিয়া আক্তার ফারহাকে।

গোলাম কিবরিয়ার স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে ফেনী উপজেলার মাস্টারপাড়া এলাকায়।

মামলার নথি ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোলাম কিবরিয়া সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৩১ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য ঘোষণা করলেও অনুসন্ধানে তার নামে প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। নিজ নামে ৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের পাশাপাশি মেয়ের নামে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকার সম্পদ ক্রয় করেন।

দুদকের অপর মামলার নথিতে বলা হয়েছে, গোলাম কিবরিয়া হাজারীর স্ত্রী সেলিনা আকতার তার নিজ নামের সম্পদ বিবরণীতে ৬ কোটি ১৯ লাখ ‍কোটি টাকার সম্পদ ঘোষণা দিলেও মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ টাকার গ্রহণযোগ্য আয়ের তথ্য পাওয়া যায়। বাকি ৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা শেয়ারবাজার, ডিভিডেন্ট আয় ও কমিশন ব্যবসা হতে উপার্জন করা হয়েছে দাবি করলেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. আতিকুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শেষে তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষে আজ দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি ৮ থেকে ১০ বছর আগে চাকরি থেকে অবসরে যান। এসব সম্পদ তিনি চাকরিতে থাকা অবস্থায় আয় করেছেন।' 

দুদক ও কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে গোলাম কিবরিয়ার সর্বশেষ কর্মস্থল ছিল বাংলাদেশ কাস্টমসের ট্রেনিং একাডেমিতে। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ, ঢাকা কাস্টম, চট্টগ্রাম বন্ড কমিশনারেটে কর্মরত ছিলেন। এসব জায়গায় কর্মরত অবস্থায় তিনি অসৎ উপায়ে এসব অর্থ উপার্জন করেন।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আসামিদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ কাস্টমসের ট্রেনিং একাডেমির মহাপরিচালক মো. মাহবুবুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

12h ago