কথা কাটাকাটির জেরে রেস্তোরাঁর কিশোর কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই কিশোরের নাম তানিম (১৩)। সে মৌলভীবাজারের কুসুমবাগ এলাকার খানদানী রেস্টুরেন্ট নামে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করত। গতকাল রোববার বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কিশোর তানিম। ছবি: সংগৃহীত

কথা কাটাকাটির জের ধরে মৌলভীবাজার শহরের কুসুমবাগ এলাকার একটি রেস্তোরাঁর কিশোর কর্মীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই কিশোরের নাম তানিম (১৩)। সে কুসুমবাগের খানদানী রেস্টুরেন্ট নামে একটি রেস্তোরাঁয় কাজ করত। গতকাল রোববার বিকেলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ ও স্বজনদের ভাষ্য, তানিম প্রায় ৩ মাস ধরে ওই রেস্তোরাঁয় কাজ করত। সে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মির্জাপুর ইউনয়নের রায়পরান গ্রামের মুহিত মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ওই রেস্তোরাঁরই আরেক কর্মচারী জালাল মিয়াকে (৫৫) আটক করা হয়েছে।

তানিমের বাবা মুহিত মিয়া বলেন, 'শনিবার আমার ছেলের সঙ্গে জালাল মিয়া ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনের সামান্য ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তারা ঝাড়ু ও লাঠি দিয়ে তানিমকে পেটায়। এতে তার মাথা, কান ও গলায় জখম হয়।'

তানিমের মামাতো ভাই জামসেদ মিয়ার ভাষ্য, আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তানিম তাকে জানিয়েছে জালাল মিয়ার পাশাপাশি রেস্তোরাঁর পাশের পান দোকানদার বদরুল ও আজিজুল নামে আরেক ব্যক্তি এই মারধরে অংশ নেয়।

জামসেদ বলেন, 'তানিমের বাবা, আমি ও রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সবুজ প্রথমে তানিমকে ঘটনাস্থল থেকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওসমানী মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে রোববার বিকেলে মারা যায় সে।'

গতকাল তানিমের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ওই রেস্তোরাঁর সব কর্মী পালিয়ে যান। গতকাল রাতে সেখানে গিয়ে রেস্তোরাঁটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মশিউর রহমান বলেন, 'এ ঘটনায় জালাল নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পাঠানো হয়েছে।'

Comments