৯ বার পেছালো এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার প্রতিবেদন জমার তারিখ

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে ভাই ও আত্মীয়ের নামে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার।
sk sinha
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

দুদকের তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসাদুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দুদক এ নিয়ে ৯ বার সময় নিলো।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে ভাই ও আত্মীয়ের নামে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এসকে সিনহার বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করেছিলেন দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রধান বিচারপতি থাকাকালে এসকে সিনহা উত্তরা আবাসিক এলাকায় রাজউকের কাছ থেকে একটি প্লট নেওয়ার পর ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার ভাইয়ের নামে রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে আরও ৩ কাঠার প্লট নেন।

পরে তিনি ৩ কাঠার প্লটটির আয়তন বাড়িয়ে ৫ কাঠা করেন, প্লটটি পূর্বাচল থেকে উত্তরা-৪ নম্বর সেক্টরে স্থানান্তর করেন এবং তার এক আত্মীয়কে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেন।

দুদকের তদন্তে দেখা যায়, সাবেক প্রধান বিচারপতি প্লটটির বিপরীতে রাজউককে ৭৫ লাখ টাকা দেন এবং ৬ কোটি ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ তলা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স নির্মাণ করেন।

দুদক আরও বলেছে, প্লট ক্রয় ও অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের উন্নয়নে ব্যবহৃত অর্থের কোনো আইনি উত্স পাওয়া যায়নি।

২০২১ সালের ৯ নভেম্বর এসকে সিনহাকে ৪ কোটি টাকা অর্থপাচারের একটি মামলায় ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Comments