অধ্যাপক তাহের হত্যা: মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের ফাঁসিতে বাধা নেই
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এস তাহের আহমেদকে হত্যার দায়ে আসামি মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মো. জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে আর কোনো বাধা নেই।
আজ সোমবার কারা কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৫৯ বছর বয়সী অধ্যাপক তাহের আহমেদকে ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হত্যা করা হয় এবং ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এই হত্যার ঘটনায় ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন তৎকালীন রাবি শিক্ষক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও অধ্যাপক তাহেরের বাসায় তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমকে। গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্টের এই রায় বহাল রাখেন।
আসামিদের ফাঁসি কার্যকরের প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে জাহাঙ্গীরের ভাই মো. সোহরাব হোসেন একটি রিট আবেদন করেছিলেন। আজ সেই আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার বেঞ্চ রিট আবেদনটি খারিজ করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এমআর চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রিট আবেদনে উল্লেখিত আইনের সব পয়েন্টেই ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত রয়েছে। তাই এই রিট আবেদনের শুনানির সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আদালত।
তিনি বলেন, আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে দেরি করানোর জন্য কল্পিত ও অবমাননাকর রিট দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ একই ধরনের একটি রিট আবেদন খারিজ করেছিল বলে জানান তিনি।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ বলেন, এই আদেশের পর কারা কর্তৃপক্ষের আসামিদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে আর কোনো আইনি বাধা নেই। রাষ্ট্রপতি ইতোমধ্যে তাদের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন।
রিট আবেদনকারীর আইনজীবী এসএন গোস্বামীর মন্তব্য জানার জন্য বেশ কয়েকবার মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
Comments