টেকনাফে বিজিবি-মাদক চোরাকারবারি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন বিজিবির ১ সদস্যসহ ৭ জন।
কক্সবাজার
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে মাদক চোরাকারবারিদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এছাড়া গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন বিজিবির ১ সদস্যসহ ৭ জন।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংঘর্ষের পর আটক করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা চোরাকারবারি জাফর আলমকে। 

সংঘর্ষে নিহত মোহাম্মদ রফিক (৪৮) টেকনাফের হ্নীলার ২৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ৭ জনকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইওএম হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতদের মধ্যে বিজিবি সদস্য সিপাহি মাহমুদুল (২২), লেদা এলাকার  ইসমাঈল (৬০), ওসমান (১৮), গুরা মিয়া (৯০) ও তৌহিদুল ইসলামের (৩৫) পরিচয় পাওয়া গেছে।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, লেদা এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলমের ভাই জাফর আলমের বাড়িতে বিজিবির একটি দল অভিযান চালায়। এ সময় ইয়াবাসহ একজনকে আটকের সময় মাদক চোরাকারবারিরা বিজিবির ওপর হামলা চালায়। বিজিবি তখন পাল্টা গুলি করে।

জানতে চাইলে টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, 'সংঘর্ষের খবর শুনেছি। বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।'

বিজিবি ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিজিবির ওপর হামলা, গুলি ও পাল্টা গুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হতাহত হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।'

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জোবাইর সৈয়দ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিকেল পর্যন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়নি। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে আছে।'

Comments