চট্টগ্রামে পুলিশ পরিচয়ে ১৪টি স্বর্ণের বার ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৫

ছিনতাই হওয়া স্বর্ণের বার ও নগদ টাকা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরীর হাজারী গলিতে পুলিশ পরিচয়ে ১৪টি স্বর্ণের বার ছিনতাইয়ের ঘটনায় মূলহোতাসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ডাকাতির ৬টি স্বর্ণের বার ও স্বর্ণ বিক্রির ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত রোববার ভোরে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর মামলা দায়ের হলে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বুধবার ৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন প্রবীর বণিক (৪৪) জয়ন্ত বণিক (৪৮), আব্দুর রউফ (৫২), মো. মাঈনুদ্দীন হাসান তুষার (৩৮), ও শ্রাবণী বণিক (৩৪)।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে প্রবীর ও জয়ন্ত সহোদর ও শ্রাবণী জয়ন্তের স্ত্রী। হাজারী গলিতে তাদের স্বর্ণের ব্যবসা আছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হাজারী গলির পিয়াসী মার্কেটের বনলতা কাটিং সেন্টার নামের স্বর্ণালংকার তৈরির কারখানার ম্যানেজার কনক ধর গত রোববার ভোরে ১৪টি স্বর্ণের বার নিয়ে ঢাকার শাঁখারি বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। হাজারী গলি সংলগ্ন বনফুল মিষ্টি দোকানের সামনে পৌঁছানোর পর ৪ জন তার রিকশার সামনে এসে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে গতিরোধ করে। স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নিয়ে তারা লালদিঘীর দিকে পালিয়ে যান।

কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন 'আসামি জয়ন্ত বণিক স্বর্ণ ব্যবসার সুবাদে হাজারী গলির স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের গতিবিধি সম্পর্কে জানতেন। তিনি প্রবীর বণিক, আব্দুর রউফ, মাঈনুদ্দীন হাসান তুষার সহ আরও কয়েকজনের মাধ্যমে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটান।'

'ছিনতাই করে জয়ন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া পালিয়ে যান। তাকে জেলার সদর থানা এলাকা হতে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে,' বলেন তিনি।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান 'ব্যবসায়ীরা কখন, কার মাধ্যমে, কোথায় স্বর্ণ আনা নেওয়া করেন জয়ন্ত সেটার ওপর নজর রাখতেন। কোন ব্যবসায়ীর স্বর্ণের বার পাঠানোর তথ্য পেলে জয়ন্ত তার ভাই অথবা অন্য লোকের মাধ্যমে ছিনিয়ে নিতেন। পরে তিনি মধ্যস্থতাকারী সেজে স্বর্ণের মালিকের সঙ্গে রফা করে কিছু স্বর্ণের বার ফেরত দিতেন এবং বাকিটা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিতেন।'

Comments

The Daily Star  | English

'March to Jamuna': Police charge baton to disperse JnU students

At least 25 students were taken to DMCH after suffering injuries from baton charges or falling ill due to tear gas inhalation

34m ago