বাগেরহাটে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য আটক, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। 
বাগেরহাটে পুলিশের হাতে আটক আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য। ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের ফকিরহাটে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। 

আজ শনিবার ভোররাতে ফকিরহাট উপজেলার পিলজঙ্গ ইউনিয়নের কাটাখালী মোড়ের পাশে বালুর মাঠ এলাকা থেকে ফকিরহাট থানা পুলিশ তাদের আটক করে।

তাদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদের আদালতে সোপর্দ করার প্রস্তুতি চলছে।

আজ দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) কে এম আরিফুল হক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

আটককৃতরা হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার পাতিলাখালী গ্রামের মৃত নূর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জালাল শেখ, একই গ্রামের কামাল শেখের ছেলে কাদের শেখ, যশোর অভয়নগরের মৃত মোতালেবের ছেলে কামরুল ইসলাম, যশোর কোতোয়ালি থানার হামিদপুর গ্রামের মোকছেদ আলী বিশ্বাসের ছেলে ইকতিয়ার বিশ্বাস এবং নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কুনাদসী গ্রামের ধলা গাজীর ছেলে জাকির গাজী।

তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। চলতি বছরের ২৫ জুন রাজশাহীর পবা উপজেলার বড়গাছিতে রাজ আলুর কোল্ড স্টোরেজের ভল্ট ভেঙে ৩০ লাখ ৬৭ হাজার ৭২ টাকা লুটের সঙ্গেও তারা জড়িত বলে জানা গেছে।

জব্দকৃত ডাকাতির সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে দেশীয় তৈরি পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্রে ব্যবহৃত পুরোনো গুলি, লোহার রড, রেঞ্জ, ছুরি, প্লাইয়ারস, হ্যাকস ব্লেডের হাতল, গ্যাস বার্নার, স্ক্রু ড্রাইভার, লোহার চাপাতি, হাতুড়ি, কাটার ও ড্রিল মেশিনে ব্যবহৃত লোহার রড।

পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বলেন, 'গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পেরেছি একটি সশস্ত্র গ্রুপ জেলার কোথাও ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর ভিত্তিতে মোল্লাহাট ও ফকিরহাট থানার একাধিক টিম ও জেলা ডিবি পুলিশ ডাকাতদের আটকে কাজ শুরু করে। গভীর রাতে ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়। আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।'

পুলিশ সুপার আরও বলেন, 'আটককৃত ডাকাতরা শুধু বাগেরহাট নয়, রাজশাহী, রংপুর ও কুড়িগ্রামেও ডাকাতি করেছেন। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বড় দোকান এবং ধনীদের বাড়ি। আধুনিক সিন্দুক এবং তালা কাটার জন্য তাদের কাছে গ্যাস সিলিন্ডারও রয়েছে। এই গ্রুপে কমপক্ষে ১০ জন সদস্য আছে। কখনো তারা একসঙ্গে ডাকাতি করে, কখনো দুই দলে। তাদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ বিষয়ে আরও জানতে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ডাকাতদের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
S Alam's bank balances in Bangladesh

Singapore’s Financial Intelligence Unit seeks information on S Alam Group

The Financial Intelligence Unit (FIU) of Singapore has requested details about the Chattogram-based conglomerate S Alam Group and its owners, including information on their domestic and foreign assets, from Bangladesh’s Financial Intelligence Unit (BFIU)

13m ago