কুবি শিক্ষার্থী ইকবালকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত

উপাচার্যের বক্তব্যকে বিকৃত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে গত ২ আগস্ট মনোয়ারকে বহিস্কারের আদেশ পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
দেশটাকে তো জাহান্নাম বানিয়ে ফেলেছেন
স্টার ফাইল ফটো

সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশের জেরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে দৈনিক যায়যায়দিনের সাংবাদিক ইকবাল মনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি হবে না, তা জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রুল জারি করেছেন আদালত।

গত ২ আগস্ট দুর্নীতি বিষয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বক্তব্য নিয়ে প্রতিবেদন করার পর বক্তব্যকে বিকৃত করার অভিযোগ এনে তাকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইকবাল মনোয়ারের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ ও রুল জারি করেন।
ইকবালের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশে তার মক্কেলের ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তার একাডেমিক কার্যক্রম চালাতে কোনো আইনি বাধা নেই।

মনোয়ার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর পড়ছেন এবং ২০১৯ সাল থেকে দৈনিক যায়যায়দিন এর ক্যাম্পাস সংবাদদাতা হিসাবে কাজ করছেন।

গত ৩১ জুলাই, তিনি যায়যায়দিনে 'দুর্নীতি হচ্ছে তাই বাংলাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে: কুবি উপাচার্য' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে এ বক্তব্য দেন বলে সেখানে উঠে আসে।

উপাচার্যের বক্তব্যকে বিকৃত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে গত ২ আগস্ট মনোয়ারকে বহিস্কারের আদেশ পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Comments