বেসিক ব্যাংকের বাচ্চুসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহণের সিদ্ধান্ত ২৩ অক্টোবর

বেসিক ব্যাংকের লোগো। ছবি: ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
বেসিক ব্যাংকের লোগো। ছবি: ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বেসিক ব্যাংকের ২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করা হবে কি না, সে বিষয়ে আগামী ২৩ অক্টোবর সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।

এ মামলায় আসামিরা হলেন—বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু, ব্যাংক থেকে বরখাস্ত হওয়া ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলাম ও শাহ আলম ভূঁইয়া, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুস সোবহান ও এ মোনায়েম খান, সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. জালাল উদ্দিন, এএসএম আনিসুর রহমান চৌধুরী, সাদিয়া আক্তার শাহিন ও রুমানা আহাদ এবং সাবেক মহাব্যবস্থাপক মো. আলী চৌধুরী।

তাদের সঙ্গে আহমেদ অয়েল মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফ আহমেদ, পরিচালক নাসরিন জাহান রত্না ও এসডি সার্ভে ফার্মের ব্যবস্থাপনা অংশীদার ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া এবং প্রধান জরিপকারী ও অংশীদার মো. ফারুককেও মামলায় আসামি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে মো. আলী, ইকবাল হোসেন ও ফজলুস সোবহান বর্তমানে জামিনে আছেন, পলাতক রয়েছেন বাচ্চুসহ অন্য ১০ জন।

ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য চার্জশিট পেশ করার পর এ দিন ধার্য করেন।

গত ৩১ জুলাই দুদকের উপ পরিচালক মো. ইব্রাহিম ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। বাচ্চুসহ অন্য ১০ জন বিরুদ্ধে কোনো আদালত থেকে জামিন না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তিনি।

২৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ফখরুলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা করে দুদক। পরে চার্জশিটে বাচ্চু ও শাহ আলমের নাম যোগ করা হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ জুন অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তারা কোম্পানির পক্ষ থেকে দাখিল করা কোনো নথিপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়াই আহমেদ অয়েল মিলস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী আশরাফ আহমেদ ও তার স্ত্রী নাসরিন জাহান রত্নাকে ২৩ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেন। এই পুরো টাকাই আত্মসাৎ করা হয়েছে।

২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর আরও ১৭টি মামলা করে দুদক।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago