কবি রাধাপদ রায়ের ওপর ‘হামলাকারী’ রফিকুল গ্রেপ্তার

হাসপাতালের বিছানায় অশ্রুসিক্ত কবি রাধাপদ রায়। ছবি: স্টার

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে চারণ কবি রাধাপদ রায়ের (৮০) ওপর হামলার অভিযোগে রফিকুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে কুড়িগ্রাম শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অপর আসামি রফিকুলের বড় ভাই কদুয়ার রহমান ওরফে কদু মিয়া (৪৫) এখনো পলাতক।

গ্রেপ্তার হওয়া রফিকুল ইসলাম নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের কচুয়াপাড় গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে। বুধবার বিকাল নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আশিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, প্রায় সাত মাস আগে কবি রাধাপদ রায়ের ছেলে মাধব রায়ের সঙ্গে ৫০০ টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছিল কদু মিয়ার। এ ঘটনায় কদু মিয়া কবির বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিয়েছিলেন। কবির পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তখন তার কথা কাটাকাটি হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন কদু মিয়া। ঘটনাটি কদু মিয়া তার ছোট ভাই রফিকুলকে জানিয়েছিলেন।

গত শনিবার সকালে রাধাপদ রায় তার গ্রাম মাধাইখালে একটি বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। এ সময় কবিকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন রফিকুল। স্থানীয়রা কবিকে উদ্ধার করে নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় কবির ছেলে জুগল রায় রফিকুল ও কদুকে আসামি করে মামলা করেন।

বুধবার বিকেলে রাধাপদ রায়ের মেয়ে সান্ত্বনা রানী জানান, তাদের বাবা শারীরিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠছেন। হামলাকারী রফিকুলকে গ্রেপ্তারের খবর তারা পেয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত জেনেছি পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাবাকে নির্মমভাবে পেটানো হয়েছে। হামলার পিছনে অন্য কারণও থাকতে পারে।'

কবি রাধাপদ রায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের মাধাইখাল গ্রামের বাসিন্দা। তার কবিতায় আধ্যাত্মিকতা ও গ্রামীণ জীবনের কথা উঠে আসে। নিজের লেখা কবিতা সুরে সুরে আবৃত্তি করে গ্রামের মানুষকে শোনান তিনি। তার ওপর হামলায় দেশে অনেকেই নিন্দা জানিয়ে বিচার দাবি করেছেন।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে সোপর্দ করা হবে। আরেক আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কবির চিকিৎসার বিষয়ে খোঁজ রাখছে পুলিশ।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

4h ago