রাধাপদ রায়, বাউল নির্যাতন ও বিকল রাষ্ট্রযন্ত্র

সংস্কৃতি কর্মীরা বুঝতে পারছে না, এই খড়গ তাদের ওপরও আসবে। তখন যারা উচ্চস্বরে ফেটে পড়বে তাদের জন্য বলা, আপনি তখন কোথায় ছিলেন?

আপনি তখন কোথায় ছিলেন?— আখতারুজ্জামান আজাদের প্রবন্ধের বইয়ের নাম। কয়েকদিন ধরে এই লাইনটা মাথায় ঘুরছে। ভয়াবহ সাংস্কৃতিক সংকট চলছে। অথচ নীরবতা দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি, এইটাই বুঝি স্বাভাবিক। সংকটে প্রতিবাদ না করাই বরং অস্বাভাবিক।

অথচ সংস্কৃতি কর্মীরা বুঝতে পারছে না, এই খড়গ তাদের ওপরও আসবে। তখন যারা উচ্চস্বরে ফেটে পড়বে তাদের জন্য বলা, আপনি তখন কোথায় ছিলেন?

ইংরেজির দশম মাসের নাম অক্টোবর। অক্টোবরে শরতের দেখা মেলে। কাশফুল ওড়ে। প্রকৃতির সোঁদা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আসে শারদীয়া। উৎসব, আয়োজনে ভরপুর থাকে। আনন্দ, গীত হয়। আশা করা হয়, শুভ্রতা ছড়িয়ে পড়বে সব জায়গায়, শুদ্ধতায় ভরে উঠবে মন। সেই আশা হতাশায় রূপান্তরিত হতে সময় নেয় না।

আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম—এখন শুধু কথায় সীমাবদ্ধ। সংস্কৃতি, উৎসবমুখর যে জাতিকে আমরা চিনতাম, জানতাম, সেই জাতি এখন সংস্কৃতিবিমুখ। এখন দেশে বাউল, কবি, সাধক, পল্লিকবি, স্বভাবকবিরা নিগৃহীত, নির্যাতিত। এইটাই যেন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সবকিছু বিচার করা হয় ধর্মের দৃষ্টিকোণ থেকে। অথচ এমন হওয়ার কথা ছিল না। কী হওয়ার কথা ছিল? যা হওয়ার কথা ছিল তা তো হয়নি। এখন যে আশা নিয়ে লিখতে বসেছি, তাও কি পূরণ হবে?

এই যে মানুষের রূপান্তর, তা কি একদিনে হয়েছে? আমাদের সংস্কৃতি, গান, উপাচার, লোকাচার, বিশ্বাস কোনো ম্যাসলম্যান বা প্রভাবশালী গুড়িয়ে দিতে চাইছে, তা কি আজ প্রথম? বা প্রথম বলে কি তার বিচার হবে না? এইসব প্রশ্ন ক্রমান্বয়ে ঘুরছে। সমাধান কি মিলেছে?

কবি রাধাপদ রায়কে গত ৩০ সেপ্টেম্বর নির্যাতন করা হয়। কারা করেছে? স্থানীয় কদু মিয়া (৪২) ও তার ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম (৩৬)। তারা ভিতরবন্দ ইউনিয়নের বচুয়ারপাড় গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। কেন নির্যাতন করা হয়েছে?

রাধাপদ রায়ের ভাষ্য, পাশের গ্রামের বাসিন্দা কদু মিয়া ও রফিকুল ইসলাম গান-বাজনা পছন্দ করেন না। তাকে পেটানোর সময় রফিকুল ইসলাম বলছিলেন, হিন্দু কবিকে পেটালে কিছু হয় না। (দ্য ডেইলি স্টার বাংলা, ২ অক্টোবর ২০২৩)

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরাও বলছেন, আসামিরা গান-বাজনার সংস্কৃতির বিরোধিতা করেন। কিন্তু এ কারণেই কেন রাধাপদ রায়ের মতো একজন মানুষকে পেটানো হবে, সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না তারা। (দ্য ডেইলি স্টার বাংলা, ২ অক্টোবর ২০২৩)

কেন পেটানো হবে তার কারণ বা ব্যাখ্যা প্রত্যক্ষদর্শী বা স্থানীয়রা না বুঝলেও আমরা বুঝি। আপনি ভাবুন, এক দশক ধরে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন মুখ থুবড়ে পড়ছে? মডেল সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র নির্মাণের প্রয়াস কেন রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রনায়ক উপলব্ধি করছে না? কখনো রাধাপদ, কখনো মেহেদী, কখনো রণেশ ঠাকুরদের ধরে ধরে নির্যাতন করা হয় কেন? কেন অন্যের বিশ্বাসে আমাকে বিশ্বাসী হতে হবে? এর উত্তর খুঁজলেই সমাধান মিলবে।

নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বাসিন্দা আবদুল হালিমের বাড়িতে প্রতি বছর লালন ভক্তদের নিয়মিত আসর বসতো, যেখানে লালন গানের বাইরে নানা বিষয়ে আলোচনা হতো। হেফাজতে ঈমান নামে একটি স্থানীয় সংগঠনের দাবির মুখে সেই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় স্থানীয় পুলিশ। এরপর তাদের বিরুদ্ধে লিফলেটও ছড়ানো হয়। (বিবিসি, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৬)

এমন আরও অনেক ঘটনার আমাদের চারপাশে ঘটছে। আমরা নীরবে তা দেখছি। রাষ্ট্রও এসব ক্ষেত্রে নীরব ভূমিকা পালন করে। রাষ্ট্র কাগজে-কলমে সংস্কৃতি চর্চার কথা বললেও আদতে ভয় পায়।

২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতজুড়ে মুক্তি পায় ঋষভ শেট্টি অভিনীত ও পরিচালিত চলচ্চিত্র 'কানতারা'। এটা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র নয়, হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রও নয়, কন্নড় ভাষার চলচ্চিত্র। অবশ্য বিভিন্ন ভাষায় দেখানো হয়। তারপরও এই চলচ্চিত্র ২০২২ সালে অন্যসব বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রকে পেছনে ফেলে সর্বোচ্চ আলোচনার জন্ম দেয়। কারণ কী? কারণ হলো, সংস্কৃতি।

চলচ্চিত্রে এমন এক জনগোষ্ঠীর গল্প বলা হয় যারা শুধু বিশ্বাসের জোরে এখনো টিকে আছে। তাদের সেই অজানা গল্প, সংস্কৃতি, বিশ্বাস, লোকাচার, উদযাপন চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ভারতে এমন শত, সহস্র বিশ্বাস, লোকাচার, উৎসব, উদযাপন প্রথা প্রচলিত। তারা সেগুলো নষ্ট করেনি। বরং প্রতিপালনে সহায়তা করেছে।

বাংলাদেশে হলে কী হতো? অন্য ভাষা, সংস্কৃতি, উপাচার, লোকাচার, বিশ্বাসের ওপর আঘাত হানা হতো। যথারীতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, প্রশাসন, রাষ্ট্র নীরব ভূমিকা পালন করতো।

আপনি চোখ বন্ধ করে একবার ভাবুন, এমন ঘটনা বাংলাদেশে শত শত। আপনার পাশেও তা ঘটছে। যথারীতি আপনি নীরব ভূমিকায়। না হয়, রাধাপদ রায়কে কেন মারধর করা হবে, আর মারধর করার সময় কেন বলা হবে, হিন্দু কবিকে পেটালে কিছু হয় না। তার মানে বিচার না হওয়ার সংস্কৃতি অপরাধীদের মনে জোরলোভাবে গেঁথে গেছে।

৩০ সেপ্টেম্বর রাধাপদ রায়কে নির্যাতন করা হয়, ৭ মে নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার একটি আশ্রমে সাধুসঙ্গ চলার সময় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের বাউল শিল্পী ভগীরথ মালোর একটি ঘর রাতের আধারে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। ২০২১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে বগুড়ার শিবগঞ্জে বাউল গান গাওয়ার অপরাধে মেহেদীকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে মাথা মুণ্ডন করা দিয়েছিলেন শফিউল, মেজবাউল ও তারেকসহ কয়েকজন। ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়ায় বাউল হারেজ ফকিরের ৪০ বছরের পুরোনো আস্তানায় হামলা চালানো হয়।

২০২০ সালের ৯ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মির্জাপুর থানায় শরিয়ত সরকার বয়াতির বিরুদ্ধে মামলা করেন একই উপজেলার আগধল্যা দারুসসুন্নাহ ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. ফরিদুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে বাউল শিল্পী রিতা দেওয়ানের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ (১) ধারায় মামলা করা হয়। ২০২০ সালের ১৭ মে সুনামগঞ্জে বাউল শাহ আবদুল করিমের শিষ্য রণেশ ঠাকুরের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। গভীর রাতে দেওয়া আগুনে 'বাউল আসর' ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়। সেই সঙ্গে পুড়ে যায় ঢোল, ছইট্টা, দোতরা, বেহালা, হারমোনিয়ামসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র। ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পাবনার চাটমোহর উপজেলার লালন একাডেমিতে হামলা চালানো হয়। সাধকগুরু ফকির লালন সাঁইয়ের ভাবসঙ্গীত চলছিল তখন। এই অবস্থায় হামলে পড়ে উগ্রবাদীরা।

২০১৮ সালের ৬ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্থানীয়ভাবে উন্নয়ন মেলার আয়োজনে গান করছিলেন বাউল শিল্পী শামসুল হক চিশতি। অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা মঞ্চ, মাইক ও গাড়ি ভাঙচুর করে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা সেই সময় জানান, শহরের কান্দিপাড়ার জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এই ভাঙচুর চালায়।

২০১৬ সালের ১৬ জুলাই জীবননগর উপজেলার একতারপুর গ্রামের মুকুল শাহর আশ্রমে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। হামলাকারীরা আশ্রমের তিন জনকে কুপিয়ে জখম করে, ভাঙচুর চালায় আশ্রমে।

২০১৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি যশোরে সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের ডুমদিয়া গ্রামে মালেকের আমবাগানে কয়েকজন বাউল গানের আসর বসিয়েছিলেন। রাত ১১টার দিকে ৫-৬টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আসরে হামলা হয়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মুক্তার হোসেনকে উপর্যুপরি কোপানো হয়।

২০১১ সালের ৪ এপ্রিল লালন ভক্ত বাউল মোহাম্মদ ফকিরের বাড়িতে দুদিনব্যাপী সাধু সংঘ উৎসবের আয়োজন করা হয়। বার্ষিক সাধু সংঘে রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, পাবনাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বাউলরা আসেন। ৫ এপ্রিল সমাপনী দিনে স্থানীয় কিছু মানুষ হাজির হন। তারা গান থামিয়ে বাউলদের সঙ্গে শরিয়ত ও মারফত নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা মতো লালনভক্ত ২৮ বাউলকে তারা চরমভাবে লাঞ্ছিত করেন। মসজিদের সামনে বসিয়ে তাদের মাথার চুল ও গোঁফ কেটে দেওয়া হয়। 'ধর্মবিরোধী' কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগে তওবা পড়তে বাধ্য করা হয়। রাজবাড়ীতে ২৮ বাউলের চুল কেটে দেওয়া এবং তওবা পড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থক। হামলাকারী দলের সঙ্গে ছিলের পার্শ্ববর্তী কালিকাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিউর রহমান নবাব।

এতগুলো ঘটনার মধ্যে কতগুলোর বিচার পেয়েছে বাউলরা? কী আওয়ামী লীগ নেতা, কী মাদ্রাসার শিক্ষক, কী প্রতিবেশী, কী মাদ্রাসা শিক্ষার্থী—কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এগুলো কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত। এর বাইরে কি আর ঘটনা ঘটেনি? এমন অসংখ্য ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটছে, কতটা জানছি আমরা? যেটা মিডিয়ায় আসছে বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে সেইটাই। এর বাইরে কত অজানা ঘটনা যে ঘটছে তা আমরা জানি না, জানছি না। কারণ মিডিয়া এখন তার কর্তব্য পালন করছে না।

বাউল নির্যাতন, সাম্প্রদায়িক হামলার মতো ঘটনাগুলো মিডিয়া আগেই এড়িয়ে যায়। দু-একটা মিডিয়া তা প্রচার করছে। অথবা যখন সবাই সরব হচ্ছে, ঠিক তখনই তা প্রচার করছে। এমন কি হওয়ার কথা ছিল?

আমি সবচেয়ে বিস্মিত হই, এই যে বিশাল জনগোষ্ঠীকে আমরা সাম্প্রদায়িক করে তুললাম, তাদের বিরুদ্ধে করণীয় কী? কেন এই বিশাল জনগোষ্ঠী বাউল গানকে অপচর্চা হিসেবে দেখছে? কবে থেকে তারা তা দেখা শুরু করেছে? কেন আমরা অপরাধীদের খোঁজার নাম করে লুকোচুরি করছি? সেই বিশাল জনগোষ্ঠীর বিচার কেন হচ্ছে না? এর উত্তরও মিলছে না। রাষ্ট্র চাইলে সম্ভব। রাষ্ট্র কী আদৌ চাইছে?

রাধাপদ রায়ের ভাইরাল হওয়া সেই গানটা আমি শুনি, শুনে তৃপ্ত হই। রাষ্ট্রনায়ক, প্রশাসক, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থায় যারা যুক্ত, তাদের পড়ার জন্য দিলাম। যদি বোধের উদয় হয়।

'কেয়ামতের নমুনা, জানি কিন্তু মানি না

গুনাহগার দোযখী হবে সে কথাও তো শুনি না

গুণ্ডাপাণ্ডা হারামখোর তারা হইলো দোজখ

দিনদুপুরে মানুষ মারে তারা হইলো দুনিয়া

কেয়ামতের নমুনা জানি কিন্তু মানি না।

সরকারি চাকরি করে, বেতন ৫ হাজার

৫০ হাজার টাকা মাসে খরচ দেখি তার

বাকি টাকা কেমনে আসে, সে কথা আর বলি না

কেয়ামতের নমুনা, জানি কিন্তু মানি না

ডিজেল ভেজাল, পেট্রল ভেজাল, অকটেন ভেজাল

ভেজাল পদ্মা–মেঘনা–যমুনা (অর্থাৎ, কোম্পানি ভেজাল)

কেয়ামতের নমুনা, জানি কিন্তু মানি না।

ভেবে কয় রাধাপদ সরকার

মানুষ হওয়া কী ছিল দরকার

পশু হওয়া ছিল ভালা

আখিরাতের কাজ করি না (অর্থাৎ পরকালের কাজ করি না)

কেয়ামতের নমুনা, জানি কিন্তু মানি না।'

 

বিনয় দত্ত, কথাসাহিতিক ও সাংবাদিক

[email protected]

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments