নাইকো দুর্নীতি মামলা

বিদেশি সাক্ষী আনার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার রিট

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো আইন নেই, যার ফলে কোনো বিদেশি সাক্ষী বাংলাদেশের কোনো আদালতে তার নাগরিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে পারে।’
খালেদা জিয়া মুক্ত
খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি সংগৃহীত

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে তিন বিদেশি সাক্ষীকে দেশে আসার অনুমতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছে খালেদা জিয়ার আইনজীবী।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আবেদনে খালেদা জিয়া বলেছেন, বাংলাদেশে এমন কোনো আইন নেই, যার ফলে কোনো বিদেশি সাক্ষী বাংলাদেশের কোনো আদালতে তার নাগরিকের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে পারে।'

তিনি আরও বলেন, আবেদনটি আদালতের কার্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হলে হাইকোর্ট তখন শুনানি করবে।

সম্প্রতিকালে ঢাকার একটি আদালত যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) সাবেক কর্মকর্তা এবং রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশের দুই সদস্যকে এ মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

সাক্ষীরা হলেন, এফবিআইয়ের অবসরপ্রাপ্ত সুপারভাইসরি স্পেশাল এজেন্ট ডেব্রা লাপ্রেভোট গ্রিফিথ এবং রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ সদস্য কেভিন ডুগান এবং লয়েড শোয়েপ।

১৯ মার্চ আদালত এই মামলায় আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ আনে। বর্তমানে জামিনে থাকা খালেদা জিয়া ওই দিন তার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদারের মাধ্যমে অভিযোগ অস্বীকার করে বিচার দাবি করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সিএম ইউসুফ হোসেন, মীর মইনুল হক, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, সেলিম ভূঁইয়া ও কাশেম শরীফ।

গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে দুদক। ওই চুক্তির ফলে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ১৩ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ আনে দুদক।

 

Comments

The Daily Star  | English
Yunus-led interim govt takes charge

2 months of interim govt: Hopes still persist

The interim government had taken oath two months ago with overwhelming public support and amid almost equally unrealistic expectations.

1h ago