কক্সবাজারে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে রেস্টুরেন্ট মালিকের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা কলাতলীতে অবস্থিত শালিক রেস্টুরেন্টের মালিকের বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীদের যৌন নিপীড়ন ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
অভিযুক্ত রেস্টুরেন্ট মালিককে গ্রেপ্তারের দাবিতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন কক্সবাজার হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ছবি: স্টার

কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা কলাতলীতে অবস্থিত শালিক রেস্টুরেন্টের মালিকের বিরুদ্ধে নারী কর্মচারীদের যৌন নিপীড়ন ও মারধরের অভিযোগে মামলা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার শালিক রেস্টুরেন্টের দুই জন কর্মচারী কক্সবাজার সদর থানায় দুটি মামলা দায়ের করেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, শালিক রেস্টুরেন্টে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। একজন নারী এবং একজন পুরুষ কর্মচারী পৃথকভাবে এজাহার দুটি দিয়েছেন। একই ঘটনা হওয়ায় একটি এজাহারের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।

রেস্টুরেন্টের মালিক নাসির উদ্দীন বাচ্চুকে গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ মানববন্ধন করেছে কক্সবাজার হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

মামলার বাদী ও রেস্টুরেন্টের আরও কয়েকজন কর্মী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, শালিক রেস্টুরেন্টে ২১ জন অবাঙালি নারীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। রেস্টুরেন্টের মালিকের শর্ত ছিল, কর্মচারীদেরকে তার তত্ত্বাবধানেই কক্সবাজারে থাকতে হবে। সেখানেই নারী কর্মীদের ওপর যৌন নিপীড়ন চালাতেন নাসির উদ্দীন বাচ্চু। নারী কর্মচারীদের পাহারা দিয়ে রাখা হতো যাতে তারা পালিয়ে যেতে না পারেন।

মামলার এক বাদী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা নির্যাতনে শিকার হওয়ার পর জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ নম্বরে ফোন করার পর তিনি উদ্ধার হয়েছেন। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুলিশের পরামর্শে তিনি মামলা করেছেন।

নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কক্সবাজার হোটেল রেস্তোরাঁ শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। মানববন্ধনে শালিক রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরাও উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগের ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য গত তিন দিনে অভিযুক্ত নাসির উদ্দিনের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শালিক রেস্টুরেন্টের একজন কর্মচারী বলেন, রেস্টুরেন্টের মালিক আত্মগোপনে আছেন।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, এ ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। শরীরে আঘাতের যে চিহ্ন দেখেছি তা অমানবিক।

Comments