হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে হামলা: ছাত্রলীগ-যুবলীগের অজ্ঞাত ৫০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লায় সংসদ সদস্য বাহারের শতাধিক নেতাকর্মী ঐক্য পরিষদের মিছিলে ধাওয়া দেয়। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবাদ সভা শেষে মিছিলে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ। 

তিনি জানান, গতকালে এ বিষয়ে একটি মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে। 

মামলার অভিযোগ দায়ের করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস বক্সি। 

তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।' 

হামলায় অদ্বৈত দাস, তন্ময় দাস, সুশীল দাস, কালিপদ পালসহ আরও ২০-৩০ জন আহত হন বলে উল্লেখ করেন তিনি। 

গতকাল রোববার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা কুমিল্লায় আহতদের দেখতে যান। জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে ঠাকুরপাড়ায় শ্বশ্মান কালিমন্দিরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। 

গত শুক্রবার কুমিল্লায় হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কর্মসূচিতে ধাওয়া করে বাহার সমর্থিত মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। 

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর রাণীর বাজারে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদের ব্যানারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের সক্রিয় কর্মীরাও এ বিক্ষোভে অংশ নেয়।

মুন্সিগঞ্জের মেয়র ফয়সাল বিপ্লব এক সমাবেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসকে 'মালাউন' বলে সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ করা, কুমিল্লার সদরের সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার কর্তৃক শারদীয় দুর্গাপূজাকে কটাক্ষ করা, কুড়িগ্রামে চারণ কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা এবং বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি তিন দিন করার দাবিতে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago