অপরাধ ও বিচার

জামায়াতের বিরুদ্ধে দুই রিট আবেদনের শুনানি ৬ নভেম্বর

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী তানিয়া আমির রিট আবেদনের ওপর শুনানির আবেদন করেন।
২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলা
ফাইল ছবি

জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনসহ দুটি পৃথক আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।

অপর রিট আবেদনে জামায়াতের নাম বা ব্যানার ব্যবহার করে সভা, সমাবেশ, মিছিলসহ যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর আপিল বিভাগের নিষেধাজ্ঞার আদেশ চেয়ে আবেদন করা হয়।

বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল রেজাউল হক চাঁদপুরী এবং আরও দুই জন গত ২৬ জুন আবেদনটি জমা দিয়েছিলেন। যাতে জামায়াতের আপিল আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামায়াতকে বৈধ রাজনৈতিক দল হিসেবে দাবি করতে না পারার ওপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াত আবেদনটি করে।

সুপ্রিম কোর্টে আপিল নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমাণ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক দল হিসেবে জনসভা করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমানসহ পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন আদালত অবমাননার আবেদন করেন চাঁদপুরীসহ আরও দুজন।

এই আবেদনে তারা জামায়াতকে ঢাকায় কর্মসূচি পালন করতে দেওয়ায় কয়েকজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগও আনেন।

জামায়াতের অন্য চার নেতা যাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়েছে তারা হলেন- জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল ও নায়েব-ই-আমির, ঢাকার হেলাল উদ্দিন।

আদালত অবমাননার আবেদনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুককে বিবাদী করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী তানিয়া আমির রিট আবেদনের ওপর শুনানির আবেদন করেন।

গত ২৭ জুলাই বিভিন্ন পেশার ৪২ জন নাগরিক আদালত অবমাননার আবেদনের বিষয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে যুক্তি উপস্থাপনের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন।

আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, লেখক ও গবেষক শাহরিয়ার কবির, শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরীন চৌধুরী, অভিনেতা, মঞ্চ পরিচালক ও নাট্য প্রযোজক রামেন্দু মজুমদার।

এদিকে গত ৩১ জুলাই জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন জামায়াতে ইসলামীর ৪৭ সমর্থক।

আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছেন জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের, হামিদুর রহমান আজাদ ও হাফেজা আসমা খাতুন।

Comments