স্থানীয় যুবকের মারধরে আহত ড্যাফোডিল শিক্ষার্থীর মৃত্যু, দুই শতাধিক দোকানে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর

এ ঘটনায় গতকাল সাভার মডেল থানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করলে পুলিশ মূল আসামি রাহাত সরকারকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ২০০টির বেশি দোকানে ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারধরের ফলে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় দুই শতাধিক দোকান ও রেস্তোরাঁ ভাঙচুর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে বিরুলিয়ার আকরাইন বাজার এলাকায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এই হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ দোকানপাটের বৈদ্যুতিক মিটার, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুরের পাশাপাশি বিভিন্ন দোকানের সামনে থাকা কাঠের বেঞ্চে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

নিহত শিক্ষার্থী হাসিবুল ইসলাম অন্তর ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বিরুলিয়ার স্থানীয় কিছু যুবক অন্তরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে তুলে নিয়ে মারধর করে।

আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ময়মনসিংহের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা যান অন্তর।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আকরাইন বাজার এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু খবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে।'

এ ঘটনায় গতকাল সাভার মডেল থানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মামলা করলে পুলিশ মূল আসামি রাহাত সরকারকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে আজ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স) সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু বলেন, 'এটাকে ভাঙচুর বলা যাবে না, তবে শিক্ষার্থীরা দুঃখ প্রকাশ করেছে।'

তিনি বলেন, 'কিছু দুষ্কৃতকারীর মারধরে আমাদের শিক্ষার্থী আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও আমরা অত্যন্ত মর্মাহত। এখন আমাদের ও শিক্ষার্থীদের মূল দাবি হচ্ছে এই ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করা।'

Comments