পাবনায় সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা, আটক ৪

পাবনায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে হামলার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দেশিয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

পাবনায় মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে হামলার ঘটনায় চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।

এসময় ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু দেশিয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

আজ রোববার দুপুরে পাবনা পৌর সদরের দিলালপুর মহল্লায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেছেন ওই সাংবাদিক।

আটককৃতরা হলেন, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আলোকদিয়ার গ্রামের শরিফুল ইসলামের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন, পাবনা পৌর সদরের আরিফপুর মহল্লার আব্দুর রহমান মোল্লার ছেলে মোবারক মোল্লা, দিলালপুর মহল্লার জহুরুল ইসলাম ও তানভীর ইসলাম।

সাংবাদিক উৎপল মির্জা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, দুপুরে একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেলে করে বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালায়। সেসময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। হামলাকারীরা তাকে গালিগালাজ ও বাসার তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে।

স্ত্রীর কাছ থেকে ফোনে হামলার খবর শুনে তাৎক্ষণিক পুলিশ সুপারকে জানান উৎপল মির্জা। সঙ্গে সঙ্গেই সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলীর নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে চার জনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। এরপর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ওসি জানান, আটককৃতদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পেছনে কারা ছিল, কী কারণে এই হামলার ঘটনা সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীন বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক উৎপল মির্জা।

তিনি বলেন, 'হামলাকারীরা বহিরাগত, তাদের আগে কখনো এলাকায় দেখা যায়নি। তাদের ভাড়া করে নিয়ে আসা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। কেন, কী কারণে এই হামলা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।' 

এদিকে সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে সশস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান বলেন, 'সাংবাদিক উৎপল মির্জার বাড়িতে প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা এই হামলার পেছনে জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই। পাশাপাশি পরিবারটির নিরাপত্তায় পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।'

Comments