অর্থপাচারের আরেক মামলায় এনু-রূপনের ৭ বছর কারাদণ্ড
পাঁচ কোটি টাকা পাচারের মামলায় 'ক্যাসিনো ব্রাদার্স' এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮-এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঁইয়া।
দণ্ডপ্রাপ্তদের ৬০ দিনের মধ্যে জরিমানার অর্থ জমা দিতে হবে। অন্যথায় তাদের আরও ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অর্থ পাচারের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন এনু ও রুপন।
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের গেন্ডারিয়া শাখার সাবেক সহ-সভাপতি এনু ও একই ইউনিটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুপন।
বিচারক এনুর তিন ভাই শহিদুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া ও মেরাজুল হক ভূঁইয়াকে খালাস দিয়েছেন।
মামলার আসামি পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব, যারা এখন পলাতক আছেন, তারাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ না পাওয়ায় খালাস পেয়েছেন।
রায়ে বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন নিঃসন্দেহে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং এই ধরনের অপরাধ করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
বিচার চলাকালে আদালত মামলার অভিযোগকারীসহ রাষ্ট্রপক্ষের ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
২০২০ সালের ২০ আগস্ট রাজধানীর বংশাল এলাকায় এনু-রুপনের সহযোগী আবুল কালাম আজাদ ও হারুন-অর-রশিদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নগদ পাঁচ কোটি পাঁচ লাখ টাকা, সাড়ে আট কেজি স্বর্ণ ও ছয়টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব।
ঘটনার পর সিআইডি পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় এনু, রূপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তবে আগস্টে সিআইডি এনু ও রুপনসহ আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে এবং জড়িত প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের তিন জনের নাম বাদ দেয়।
সিআইডির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ১২১টি ফ্ল্যাট ও প্লট, মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান ও কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ায় মোট ১২১টি ফ্ল্যাট ও প্লট তাদের নামে নিবন্ধিত রয়েছে।
সিআইডি আরও জানতে পেরেছে, ইনু ও রূপনের ৯১টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৬ কোটি টাকা এবং ঢাকায় তারা ১২১টি ফ্ল্যাটের মালিক।
২০২২ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকার আরেকটি আদালত ওয়ারী থানায় ২ কোটি টাকা পাচারের আরেকটি মামলায় এনু ও রুপনসহ ১১ জনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।
Comments