ট্রেন দেখানোর কথা বলে শিশু অপহরণ, কক্সবাজার থেকে উদ্ধার

কক্সবাজার
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

'মুক্তিপণ আদায়ের জন্য' চট্টগ্রামের লোহাগড়া থেকে অপহৃত এক শিশুকে তিনদিন পর কক্সবাজার থেকে উদ্ধার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার মোহাম্মদ নুর (২১) অপহরণের শিকার হওয়া শিশুটির বাবার মুরগির খামারে কাজ করতেন।

আজ সোমবার কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাহফুজুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, 'অপহরণকারী' নুর উখিয়া উপজেলার বালুখালী ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে। আর উদ্ধার হওয়া শিশু আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ (৭) চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলার চুনতি বাগানপাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল আলমের সন্তান।

পুলিশের কাছে করা লিখিত অভিযোগ ও মিনহাজের স্বজনদের বরাত দিয়ে এসপি মাহফুজুল ইসলাম জানান, দেড় থেকে দুই মাস আগে রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ নুর নিজেকে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দা পরিচয় দিয়ে ফরিদুল আলমের মালিকানাধীন মুরগির খামারে কাজ নেন। কাজের সুবাধে মালিকের পরিবারের লোকজন ও শিশু আব্দুল্লাহ আল মিনহাজের সঙ্গেও সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে নুরের।

এরমধ্যে নুরের রোহিঙ্গা পরিচয় জানতে পেরে খামার মালিক ফরিদুল পাওনা পরিশোধ করে গত ৭ ডিসেম্বর তাকে কাজ থেকে অব্যাহতি দেন। পরদিন নুর সেখান থেকে তার ব্যবহৃত জামাকাপড় নিয়ে আসার সময় মিনহাজকে ট্রেন দেখানোর কথা বলে বাড়ির বাইরে এনে কক্সবাজার নিয়ে যান।

এ পর্যায়ে বিভিন্ন জায়গায় মিনহাজের খোঁজ না পেয়ে ৮ ডিসেম্বরেই মিনহাজের বাবা ফরিদুল চুনতি পুলিশ ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সে রাতে ফরিদুলকে মোবাইলে কল করে নুর পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে বলে জানান এসপি মাহফুজুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'মুক্তিপণ না দিলে শিশুটিকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। এ ঘটনার পর শিশুর বাবা দুই দফায় ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ পরিশোধ করেন। পরে বিষয়টি কক্সবাজার জেলা পুলিশ জানার পর জড়িতদের গেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়।'

শেষ পর্যন্ত গতকাল রোববার রাতে কক্সবাজার শহরের একটি রিসোর্ট থেকে শিশুটিকে উদ্ধারের পাশাপাশি নুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধারের পর শিশুটিকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গ্রেপ্তার নুর এখন লোহাগড়া থানা হেফাজতে আছেন বলে জানান মাহফুজুল ইসলাম।

Comments