ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম থেকে ১২ ল্যাপটপ চুরি

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম থেকে ১২টি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। গত রোববার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও আজ মঙ্গলবার মামলা হওয়ার পর বিষয়টি জানা যায়।
ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম শাখার কার্যালয়। ছবি: স্টার

ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের রেকর্ড রুম থেকে ১২টি ল্যাপটপ চুরি হয়েছে। গত রোববার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও আজ মঙ্গলবার মামলা হওয়ার পর বিষয়টি জানা যায়।

ফরিদপুর জজ কোর্ট, জেলা প্রশাসকের বাসভবন ও জেলা জজের বাসভবনের উত্তরে লাল রঙের একটি দোতলা ভবনে রেকর্ড রুমের অবস্থান। এই ভবনের উত্তরে সড়কের পাশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির সামনে সীমানা প্রাচীর এবং প্রাচীরের উপরে গ্রিল দিয়ে ঘেরা। সামনে একটি ফটক রয়েছে। লাল ভবনে ঢুকতে একটি কাঠের দরজা এবং এর পর একটি কলাপসিবল গেট পার হতে হয়। সে কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে সেটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত।

চুরির ঘটনায় ফরিদপুরের রেকর্ড কিপার মো. আবু বকর সিদ্দীক (৫২) বাদী হয়ে আজ কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রথমে দরজার কবজা ভেঙে চোরেরা ভবনের ভেতরে ঢোকে। পরে তারা কক্ষের তালা কেটে ভেতরে ঢুকে আলমারি ভেঙে ল্যাপটপগুলো চুরি করে।

এজাহারে আরও বলা হয়, অফিস টেবিল হতে পাঁচটি ল্যাপটপ, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার আলমারি হতে চারটি ল্যাপটপ এবং অফিস সহকারীর আলমারি হতে তিনটি ল্যাপটপসহ সর্বমোট ১২টি ল্যাপটপ খোয়া গেছে।

রেকর্ডরুম শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. লিটন আলী বলেন, ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা ও ভবনের ক্রুটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, রেকর্ড রুমে চুরির ঘটনায় পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

Comments