হ্যান্ডকাফ ‘রহস্য’ ভেদ করতে পারেনি পুলিশ, আদালতে পাঠানো হলো সেই যুবককে

হ্যান্ডকাফ ‘রহস্য’ ভেদ করতে পারেনি পুলিশ, আদালতে পাঠানো হলো সেই যুবককে
মো. মনির | ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে হ্যান্ডকাফ কাটাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক যুবককে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে তিনি কোন থানায় আটক হয়েছিলেন, হ্যান্ডকাফ পরে কোথায় থেকে তিনি হালিশহর এলাকায় এসেছিলেন তা জানতে পারেনি পুলিশ।

'রহস্য' উদঘাটনে ব্যর্থ হয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ তাকে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৪ ধারায় আদালতে চালান করে।

প্রসঙ্গত, গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে নগরীর হালিশহর থানার বড়পোল সিএসডি গোডাউন রাস্তার মাথা থেকে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. মনিরকে (২৫) আটক করেন।

হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় একটি ভাঙ্গারি দোকানের সামনে হ্যান্ডকাফ পরে ঘোরাফেরা করছিলেন মনির। আশেপাশের দোকানিদের সন্দেহ হলে তারা স্থানীয় ট্রাফিক সার্জেন্ট সুখেন দেবকে বিষয়টি জানান। ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে আটক করে হালিশহর থানায় খবর দেন। মনির জানান, তিনি হ্যান্ডকাফ কাটাতে গিয়েছিলেন।

মনিরের বাড়ি বাগেরহাট জেলার সদর থানায়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) নিহাদ আদনান তাইয়ান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মনিরের বিরুদ্ধে বাগেরহাটে দুটি চুরির মামলা রয়েছে এবং দুটি মামলায় তিনি জামিনে আছেন বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। কারা তাকে হাতকড়া পরিয়ে আটক করতে চেয়েছিল তা জানা যায়নি।

'আমরা তাকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি কিন্তু কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। তাই হাতকড়াটি জব্দ করে আমরা তাকে ১৫৪ ধারায় আদালতে চালান করেছি,' বলেন আদনান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জিজ্ঞাসাবাদে মনির জানিয়েছেন, তিনি কিছু দিন আগে বাগেরহাট থেকে চট্টগ্রামে এসেছেন। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে চুরির অভিযোগে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় কৌশলে তিনি পালান।'

উল্লেখ্য, পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই), উপপরিদর্শক (এসআই) এবং পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের থানা ও পুলিশ লাইন্সের স্টোর থেকে হাতকড়া ইস্যু করা হয়। এছাড়া থানার টহল পুলিশ দায়িত্বে যাওয়ার সময় ব্যক্তির নাম ও নম্বরের বিপরীতে হাতকড়া ইস্যু করা হয়। পুলিশের হাতকড়ায় খোদাই করে 'পুলিশ' লেখা থাকে এবং বাংলাদেশ পুলিশের মনোগ্রাম থাকে। তবে মনিরের কাছে পাওয়া হাতকড়ায় তেমন ছিল না।

সিএমপির দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন এমন দুইজন কর্মকর্তা ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'অনেকের কাছে পুরানো হ্যান্ডকাফ আছে। আগে ঢাকার পলওয়েল মার্কেটে গিয়ে যে কেউ হ্যান্ডকাফ কিনতে পারতো, তবে সেই চিত্র এখন নেই। তিন-চার বছর আগে পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে।

'নতুন হাতকড়া দেখলে পুলিশের কি না বোঝা যায়। পুলিশ ছাড়াও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কাছেও হাতকড়া রয়েছে। হাতকড়াসহ যেহেতু আসামি পালিয়ে এসেছে, তাই অনেকে চাকরি হারানোর ভয়ে এখন অনেকেই তথ্য গোপন করতে চাইবে,' বলেন তারা।

পুলিশ কর্মকর্তা আদনান নিশ্চিত করেছেন, এটি পুলিশের হাতকড়া না।

তিনি বলেন, 'আমরা সিএমপির ১৬টি থানায় খবর নিয়েছি, তারা জানিয়েছে কোনো আসামি হাতকড়াসহ পালিয়ে যায়নি।'

Comments

The Daily Star  | English

Abdul Hamid returns home after treatment in Thailand

Two police officials were withdrawn and two others suspended for negligence in duty regarding the former president's departure from the country

9h ago