দিনাজপুর

৮ মাস আগে মজুদ করা ২৭০ মে. টন ধান জব্দ, গোডাউন সিলগালা

গোডাউনে ধানের বস্তার ওপর মাকড়শার আস্তরণ পড়েছে। গোপনে মজুদ করা ওই ধান এখন বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রির চেষ্টা করছিলেন গোডাউন মালিক।
প্রায় আট মাস আগে মজুত করা এসব ধানের বস্তার ওপর মাকড়শার আস্তরণ পড়েছে। এগুলো বৃহস্পতিবার জব্দ করে গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বাজারে ধান ও চালের দাম নিয়ন্ত্রণে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার একটি ধানের গোডাউনে অভিযান চালিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর।

অভিযানকালে ওই গোডাউন থেকে ৮ মাস আগে মজুদ করা ২৭০ মেট্রিক টন ধান জব্দ করা হয়েছে। 

গোডাউনের স্বত্বাধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা করে গোডাউনটি সিলগালা করা হয়েছে।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

বৃহস্পতিবার বিকেলে বিরল উপজেলার পাইকপাড়ায় ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রোর একটি গোডাউনে এ অভিযান চালানো হয়। 

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জানান, ৮ মাস আগে গত বোরো মৌসুমে কয়েকটি গোডাউনে আঠাশ জাতের ধান মজুদ করেন ওরিয়েন্টাল অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী মোসাব্বিক রফিক সোহান। পাইকপাড়ার গোডাউনটিতে তিনি ২৭০ মেট্রিক টন ধান মজুদ করেন।

গোডাউনে ধানের বস্তার ওপর মাকড়শার আস্তরণ পড়েছে। গোপনে মজুদ করা ওই ধান এখন তিনি বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করছিলেন বলে জানান খাদ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন। 

এই গোডাউন থেকে আকিজ ও আফিন গ্রুপের কাছে ধান সরবরাহ করা হতো। 

'মজুদদারের কারণে বর্তমানে বাজারে ধানের দাম বেড়েছে' মন্তব্য করে খাদ্য কর্মকর্তা বলেন, 'এক মাসের বেশি কোনো গোডাউনে ধান মজুদ করা যাবে না, সরকারের এমন নির্দেশনা আছে। ওই গোডাউন মালিক সরকারের সব ধরনের নির্দেশনা অমান্য করে অবৈধভাবে ধান মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করছেন।'

গোডাউনে ২৭০ মেট্রিক টন ধান জব্দ করে গোডাউনটি সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে গোডাউন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে এবং তার মিলের লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে জানান খাদ্য কর্মকর্তা।

এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন জেলা খাদ্য কর্মকর্তা কামাল হোসেন নিজেই। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা মোহন আহমেদ, দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সিং, বিরল উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ। 

Comments