ব্যাংকের অর্থ আত্মসাৎ: শিপ রিসাইক্লিং ব্যবসায়ীর ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড ও যাবজ্জীবন

৮৯ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে মাত্র ৪ কোটি টাকা এফডিআর থাকলেও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এর অনুমোদন দেয়।

স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির নামে ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ মামলায় মুহিব স্টিল অ্যান্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রির সত্ত্বাধিকারী মজিবুর রহমান মিলনকে ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় আজ সোমবার চট্টগ্রাম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।

রায়ে বলা হয়েছে, অর্থ আত্মসাৎ করে আসামি মজিবুর রহমান সপরিবারে আত্মগোপনে চলে গেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ৪০৯ ধারার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দুদকের মামলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১১ সালে কোরিয়া থেকে ১২ হাজার টনের একটি স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির জন্য অগ্রণী ব্যাংকের লালদিঘী শাখা থেকে ৮৯ কোটি টাকা এলসির ঋণ নেন এই ব্যবসায়ী। ঋণের বিপরীতে মাত্র ৪ কোটি টাকা এফডিআর থাকলেও ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ১৬৬তম সভায় তা অনুমোদন করে।

এ ঘটনায় ব্যাংকের কর্মকর্তা ও পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি বলে জানান দুদকের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু।

তিনি বলেন, 'মাত্র ৪ কোটি টাকা এফডিআর দিয়ে দুই দফায় এলসি ঋণ বাড়িয়ে ৮৯ কোটি টাকা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী মজিবুর রহমানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করে দুদক।'

ব্যাংকের কোনো কর্মকর্তাকে কেন আসামি করা হয়নি—জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সেটা আমি জানি না।'

Comments