শ্রম আইন লঙ্ঘন: রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেন ড. ইউনূস

নিম্ন আদালতের আদেশে এক মাসের যে জামিন দেওয়া হয়েছিল তা বাড়ানোর জন্যও তারা আবেদন করেছেন।
ড. ইউনূস
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: স্টার

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও গ্রামীণ টেলিকমের অন্য তিন শীর্ষ কর্মকর্তা শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেছেন।

আজ রোববার সকাল পৌনে ১১টায় তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে এই আবেদন করেন।

সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

তিনি আরও জানান, নিম্ন আদালতের আদেশে এক মাসের যে জামিন দেওয়া হয়েছিল তা বাড়ানোর জন্যও তারা আবেদন করেছেন।

আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন গতকাল শনিবার বলেছিলেন, 'আমরা রায়ের বিরুদ্ধে ২৫ থেকে ৩০টি পয়েন্টসহ একটি পিটিশন জমা দেবো।'

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান শেখ মেরিনা সুলতানা এক মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস এবং এর পরিচালক আশরাফুল হাসান, নুরজাহান বেগম ও এম শাহজাহানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।

গত ১ জানুয়ারি রায়ের পরপরই পৃথক জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত চারজনকেই এক মাসের জামিন দেন।

ছয় মাসের কারাদণ্ড ছাড়াও চারজনকেই ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও ২৫ দিন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এ ছাড়াও, আদালত তাদের এক মাসের মধ্যে শ্রম আইন-২০০৬ এর প্রাসঙ্গিক ধারাগুলো মেনে চলার নির্দেশ দেন।

গত ১৬ নভেম্বর এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে।

এর আগে, গত ৬ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের চার সাক্ষীর জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান।

মামলার নথি অনুসারে, আইএফইডি কর্মকর্তারা ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট ঢাকার মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের অফিস পরিদর্শন করে শ্রম আইনের বেশকিছু লঙ্ঘন খুঁজে পান।

সেই বছরের ১৯ আগস্ট গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির ৬৭ কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিল, কিন্তু তা করা হয়নি।

এ ছাড়া, কর্মচারীদের পার্টিসিপেশন ও কল্যাণ তহবিল এখনো গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির যে লভ্যাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা ছিল তার পাঁচ শতাংশও পরিশোধ করা হয়নি।

Comments