জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজসহ গ্রেপ্তার ৪

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি।

গতকাল গভীর রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন জনকে ও মামলার প্রধান আসামিকে সাভার পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।

গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ আবাসিক হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনে এ ঘটনা ঘটে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ মামলায় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামান। এছাড়া পলাতক রয়েছেন শিক্ষার্থী মো. মুরাদ ও বহিরাগত মামুনুর রশীদ মামুন। মামলায় মুরাদকে ভুক্তভোগীর স্বামীকে আটকে মারধরের অভিযোগে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার পর মোস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। মামলায় মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া বাকি চার জনের বিরুদ্ধে মারধর ও আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় ভুক্তভোগীর স্বামী পূর্বপরিচিত মামুনের সাথে দেখা করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হলে যান। স্ত্রীকে নিয়ে কেনাকাটা করতে যাবেন বলে জানান। পরে মামুনের কথামত স্ত্রীকে ফোন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেন। স্বামীর কথামত ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ে এলে মামুন স্বামীকে মীর মশাররফ হলের 'এ' ব্লকের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেন। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে স্বামীর সাথে দেখা করার কথা বলে কৌশলে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে ধর্ষণ করেন মামুন ও মোস্তাফিজ।

পরে মামুন ও মোস্তাফিজ গ্রেপ্তার তিন জনের সহায়তায় পালিয়ে যান।

আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের রাষ্ট্রীয় আইনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। এর আগেও  বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের সম্পৃক্ততা আছে।'

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago