জাবিতে আবারও ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতার নাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দম্পতিকে ডেকে এনে স্বামীকে আবাসিক হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাসহ দুই জনের বিরুদ্ধে।

গতকাল শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওই নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ, নিশ্চিত করেছেন জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল।

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও বহিরাগত মামুন (৪৫)। মোস্তাফিজ মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক।

এ বিষয়ে গতকাল রাতেই মৌখিকভাবে সাভার থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মৌখিক অভিযোগের পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। ঘটনাস্থলটি আশুলিয়া থানা এলাকায় হওয়ায় আশুলিয়া থানায় মামলা হবে। ভুক্তভোগীকে আশুলিয়া থানায় পাঠানো হয়েছে।

ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তারা 'ক্যাম্পাসে ধর্ষক কেন, প্রশাসন জবাব চাই'; 'ধর্ষণমুক্ত ক্যাম্পাস চাই' স্লোগান দেন।

ভুক্তভোগী নারী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় তার স্বামীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে নিয়ে আসেন মামুন। স্ত্রীকে নিয়ে দোকানে যাওয়ার কথা ছিল তার স্বামীর। তাই ফোন করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেন। পরে মোস্তাফিজ ও মামুন মিলে তার স্বামীকে মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে আটকে রাখেন। হলসংলগ্ন জঙ্গলে নিয়ে মোস্তাফিজ ও মামুন ধর্ষণ করেন।

অভিযোগ নিয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষনের ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল্লাহেল কাফি ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলার পর বিস্তারিত জানানো হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, আমরা রাষ্ট্রীয় আইনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় আইনে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করব।'

এর আগে একাধিকবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাদের সম্পৃক্ততার খবর গণমাধ্যমে এসেছে। 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago