পটুয়াখালী

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে শিশুকন্যাকে হত্যা করেন মা

গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মরিয়মের মরদেহ বাড়ির কাছের একটি মাঠ থেকে উদ্ধার হয়।
পটুয়াখালী
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বেতাগী-সানকিপুর ইউনিয়নের রামবল্লভ গ্রামের মরিয়ম (৮) হত্যার ঘটনায় তার মা ও চাচাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে শিশুটির মা রিনা বেগম এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। তাকে এ কাজে সহযোগিতা করেছেন তার দেবর সেন্টু মৃধা।

আজ বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়ে বলেন, দশমিনা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন তারা।

তিনি জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রামবল্লভ গ্রামের মকবুল মৃধা ও রিনা বেগম দম্পতির মেয়ে ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়মের মরদেহ বাড়ির কাছে মাঠ থেকে উদ্ধার হয়। শিশুটির মাথার পিছনে ও বাম চোখে ক্ষতচিহ্ন ছিল। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পাঠায়।

এ ঘটনায় শিশুটির বাবা মকবুল মৃধা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে দশমিনা থানায় হত্যা মামলা করলেও মা রিনা বেগমের অভিযোগ ছিল, প্রতিপক্ষ ও তার চাচা শ্বশুর রাজ্জাক মৃধা শিশুটিকে হত্যা করেছেন।

পুলিশ সুপার আরও জানান, মামলা তদন্ত করতে গিয়ে শিশুটির মায়ের অসংলগ্ন কথাবার্তা ও সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে মা রিনা বেগম স্বীকার করেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রাজ্জাক মৃধাসহ প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দেবর সেন্টু মৃধার সহায়তায় মেয়েকে হত্যা করেছেন তিনি। তিনি মেয়ের মুখ ও গলা চেপে ধরেন এবং দেবর সেন্টু মৃধা মাথায় গাছের ডাল দিয়ে আঘাত করে মরিয়মের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।

নিহত মরিয়ম মকবুল মৃধা ও রিনা বেগম দম্পতির তিন মেয়ের মধ্যে ছোট মেয়ে।

   

Comments