চুরি হওয়ার ৪ দিন পর মায়ের কোলে আরিয়ান

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক আরিয়ানকে চারদিনের চেষ্টায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পলি আরা খাতুন ও তার মা মাফুজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মায়ের কোলে আরিয়ান। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক আরিয়ানকে চারদিনের চেষ্টায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পলি আরা খাতুন ও তার মা মাফুজাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার সকালে কুষ্টিয়া র‌্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-১২ অধিনায়ক মারুফ হোসেন। তিনি বলেন, তিন দিনের চেষ্টায় শিশুটিকে আনোয়ারা হাসপাতাল থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বোয়ালিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই নবজাতক চুরিতে একটি বিদেশি চক্র জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে র‌্যাব।

আরিয়ানকে উদ্ধারে দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার পথে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করতে হয় র‌্যাবকে। অপরাধী চক্রটি নবজাতককে নিয়ে যাওয়ার সময় একটি পর একটি যানবাহন পরিবর্তন করলেও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শিশুটির সন্ধান পাওয়া যায়। র‍্যাব কর্মকর্তা মারুফ হোসেন জানান, প্রথমে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়। এরপর অপরাধীর (যে নারী নবজাতকটি চুরি করেন) পোশাক ও অটোরিকশা চিহ্নিত করি। পরে আনোয়ারা হাসপাতাল থেকে বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রত্যেকটা পয়েন্টে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়। এই পথে অপরাধী চক্রটি তিন-চারটি যানবাহন পরিবর্তন করে।

হাসপাতালে নবজাতকের নানী রহিমনের তার হাত থেকেই নবজাতকটি নিয়ে যায় পলি আরা খাতুন। রহিমন বলেন, আমি সহজ সরল মনে ওই মহিলার কোলে বাচ্চাকে দিয়েছিলাম। ওকে ফিরে পেয়ে মনে খুব শান্তি লাগছে।

বাবা দীপু বলেন, র‌্যাব আমার সন্তানকে উদ্ধার করে দিয়েছে, তাদের আন্তরিকতার ফলে বুকের ধন ফিরে পেলাম।

সন্তানকে ফিরে পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মা সাফিয়া বলেন, তিনটা দিন খুব কষ্টে কেটেছে। সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমার খুব ভালো লাগছে এখন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি দৌলতপুরের আনোয়ারা বিশ্বাস মা ও শিশু হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করে আরিয়ান। দুইদিন পর ৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে বোরকা পরা এক নারী আরিয়ানকে চুরি করেন। এরপর নবজাতক উদ্ধারে নামে র‌্যাব।

Comments

The Daily Star  | English

Holidaymakers throng beach towns amid four-day festival

The recent rise in travellers comes as a relief for the tourism industry in Cox's Bazar, Kuakata and Sylhet as these regions were suffering from low turnout in July, August and September this year.

36m ago