খিলগাঁওয়ে ডমিনোজ পিজ্জা ও কেএফসিসহ ৪ রেস্টুরেন্টকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি ও অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে এসব রেস্তোরাঁকে জরিমানা করেছে রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভবনটিতে ডমিনোজ পিজা, কেএফসি ছাড়াও আছে সিক্রেট রেসিপি, ক্রিমসন কাপ ও আল-কাদেরিয়া পার্টি সেন্টার। ছবি: সংগৃহীত

অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি ও অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ৪টি রেস্তোরাঁকে ৭ লাখ টাকা জরিমানা করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বুধবার সকালে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডমিনোজ পিজ্জা, কেএফসি এবং আল কাদেরিয়া পার্টি সেন্টারকে ২ লাখ টাকা করে এবং চায়না টাউন রেস্টুরেন্টকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করে আদালত।

অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খিলগাঁওয়ের ওই ১৪ তলা ভবনের নিচতলায় রেস্তোরাঁ করার জন্য মালিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ওই ভবনে আছে ডমিনোজ পিজা, কেএফসি, সিক্রেট রেসিপি, ক্রিমসন কাপ ও আল-কাদেরিয়া পার্টি সেন্টার।

রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালত সকাল ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে ভবনে প্রবেশ করে ভবন মালিক কবির হোসেনকে প্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক অনুমতিপত্র দেখাতে বলেন।

তিনি রাজউক কর্মকর্তাদের জানান যে, ভবনের ডেভেলপার তাকে নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সব অনুমতিপত্র দেখিয়েছেন।

রাজউক তাকে জানায়, ওই ভবনের বাণিজ্যিক ব্যবহারের অনুমোদন আছে শুধু অফিস স্পেস হিসেবে ব্যবহারের জন্য, রেস্টুরেন্টের জন্য নয়। 

মালিক কবির হোসেন রাজউক কর্মকর্তাদের জানান, তিনি এ বিষয়ে জানেন না।

পরে রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম ভবনের তিনটি রেস্তোরাঁ ডোমিনোজ পিজ্জা, কেএফসি ও আল কাদেরিয়া পার্টি সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং প্রত্যেককে দুই লাখ টাকা করে জরিমানা করেন।

জরিমানা ছাড়াও, তাদের প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ঠিক করার জন্য এক মাসের সময় দেয় রাজউক।

পরে দলটি ভবনের পাশে চায়না টাউন রেস্টুরেন্ট পরিদর্শন করে সেটিকে জরিমানা করে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রতিষ্ঠানটি ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। রেস্তোরাঁয় একটি জরুরি বের হওয়ার পথ আছে, কিন্তু তার জন্য কোনো নির্দেশক সাইনবোর্ড ছিল না। এসব কারণে আমরা রেস্টুরেন্টটিকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছি।'

অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও ভবনটিতে রেস্টুরেন্ট করায় ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না কেন, এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট।

 

Comments