নাটোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের পর মারধর

অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় একমাত্র প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করছেন দেলোয়ার হোসেনের পরিবার।
দেলোয়ার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নাটোরে সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণের পর মারধরের অভিযোগ উঠেছে আরেক প্রার্থীর বিরুদ্ধে।

আজ সোমবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। 

মারধরে আহত দেলোয়ার হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন আসন্ন সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অনলাইনে আবেদন করে আজ দুপুরে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে মনোনয়নপত্রের প্রতিলিপি জমা দিতে যান তিনি। 

সেখানে কয়েকজন তাকে হঠাৎ মারধর করে কালো একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে আরও মারধর করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। 

দেলোয়ার হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।

অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় একমাত্র প্রতিপক্ষ প্রার্থী লুৎফুল হাবীব রুবেল ও তার সমর্থকদের দায়ী করছেন দেলোয়ার হোসেনের পরিবার।

লুৎফুল হাবীব‌ রুবেল সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্য পদত্যাগ করা চেয়ারম্যান। তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের শ্যালক।

দেলোয়ার হোসেনের বড় ভাই এমদাদুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে আমার ভাইকে তুলে নিয়ে যায় লুৎফুল হাবীব‌ রুবেলের সন্ত্রাসী বাহিনী মোহন ও তার লোকজন। সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তাকে আমাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে যায়। পরে আমরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।'
 
নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. রওশন আরা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দেলোয়ারের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। ইনজুরি মার্ক দেখে সিরিয়াস ইন্টারনাল ইনজুরড বলে মনে হয়েছে। সে কারণে তাকে রাজশাহীতে পাঠানো হয়েছে।'

যোগাযোগ করা হলে নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনা জানার পরপরই পুলিশ গিয়ে দেলোয়ার হোসেনকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'অপহরণের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে তিনি বা তার পরিবারের কেউ কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এমনকি অভিযোগও করতে রাজি হচ্ছেন না।'

নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং রিটার্নিং অফিসার আব্দুল লতিফ শেখ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন অনলাইনে মনোনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জেলা নির্বাচন অফিসে তার আসার প্রয়োজন ছিল না। তাকে অপহরণের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনসহ নির্বাচন কমিশনে জানানো হয়েছে।'
 
জানতে চাইলে অভিযুক্ত লুৎফুল হাবিব রুবেল দেলোয়ারকে অপহরণ ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যায় বিষয়টি শুনেছি। কারা দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ করেছে জানি না। আমি কিছুই জানি না।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago