পিনাকী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলা সাইবার ট্রাইব্যুনালে

ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্যসহ দুজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পিনাকী ভট্টাচার্য বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। এ মামলার অপর আসামি হলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মফিজুর রহমান আশিক।
আজ শনিবার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেছেন।
এর আগে ৭ মার্চ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাহাত হোসেন তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, দুজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে এবং এই ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিত।
মামলার আসামি মফিজুর রহমান আশিক এর আগে গ্রেপ্তার হয়ে এখন জামিনে আছেন। পিনাকী ভট্টাচার্যকে চার্জশিটে পলাতক দেখানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন।
গত ২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের উপ-পরিদর্শক কে এম আবদুল্লাহিল মারুফ রমনা থানায় পিনাকী এবং অন্য দুজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি মুশফিকুল ফজল আনসারির নাম মামলা থেকে বাদ দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ফার্স্ট ইনফরমেশন রিপোর্ট (এফআইআর) অনুযায়ী, ওই বছরের ১৪ অক্টোবর একটি ফেসবুক পোস্ট সিটিটিসির নজরে আসে। সেই পোস্টে মিরপুরে পুলিশের অভিযানের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পুলিশ সম্পর্কে বিকৃত তথ্য ছড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলা দায়েরের পর মফিজুরকে পল্লবীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মফিজুরের ফোন দুটি জব্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, মফিজুর তার ফেসবুক মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর মধ্যে রয়েছেন পিনাকী ভট্টচার্য ও মুশফিকুল ফজল আনসারি।
পরে মফিজুরকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিটিটিসি ইউনিট।
Comments