বেনজীরের আরও ১১৯ দলিলের সম্পত্তি, ৪ ফ্ল্যাট ও ২৩ কোম্পানি ক্রোকের নির্দেশ

বেনজীর আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ১১৯টি দলিলে উল্লেখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল আদালতের মো. আস শামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

সাভার ও মাদারীপুরের বিভিন্ন এলাকায় এসব সম্পত্তি সাবেক আইজিপি বেনজীর, তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে আছে বলে জানা গেছে।

এসব দলিলে তাদের নামে থাকা ঢাকার গুলশানে চারটি ফ্ল্যাটও ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর মধ্যে দুটি ফ্ল্যাট ২০৪২ ও দুটি ফ্ল্যাট ২০৫৩ বর্গফুট আয়তনের বলে জানা গেছে।

আদালতের আদেশে বেনজীর ও তার পরিবারের শতভাগ মালিকানাধীন আটটি কোম্পানি, আংশিক মালিকানাধীন ১৫টি কোম্পানি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে দুদকের পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরের রাজৈর থানার ১১৪টি দলিলের কয়েকশ বিঘা জমি, সাভারের বেশ কয়েকটি জমি, বেনজীর পরিবারের সাভানা অ্যাগ্রো লিমিটেড, সাভানা ইকো রিসোর্ট, একটি শিশিরবিন্দু নামে আরেকটি কোম্পানির সব সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া সোনালী ব্যাংকের সঞ্চয়পত্রের ৩০ লাখ টাকা, শান্তা ও লঙ্কা-বাংলায় বেনজীর পরিবারের শেয়ার ও আরও ১৫টি কোম্পানিতে বেনজীর পরিবারের বিভিন্ন জনের নামে আংশিক শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এসব সম্পদ বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী জিশান মির্জা, বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর এবং ছোট মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে রয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বেনজীরের নামে ৮৩টি দলিলে বিভিন্ন স্থাবর সম্পদ 'ক্রোক' ও ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট 'ফ্রিজের' নির্দেশ দেন আদালত।

গত ৩১ মার্চ 'বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ' ও ৩ এপ্রিল 'বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট' শিরোনামে দৈনিক কালের কণ্ঠে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠে আসে।

এ অভিযোগের বিষয়ে দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম আদালতের কাছে বেনজীরের সম্পদ জব্দের নির্দেশ চেয়ে আবেদন করে। 

আবেদনে বলা হয়, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সম্পদ ক্রোক ও ফ্রিজ না করা গেলে তা হস্তান্তর হয়ে যেতে পারে। পরে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না।

Comments

The Daily Star  | English

IMF sets new loan conditions

Bangladesh must clear dues, hit steep revenue, reserve targets for next tranche

8h ago