রহিম স্টিলের ১০০ কর্মচারীর মৃত্যু: কারখানার কোয়ার্টজ ধুলো পরীক্ষার নির্দেশ হাইকোর্টের

২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে রহিম স্টিল মিলের একটি স্টোন ক্রাশিং কারখানার ধুলার কারণে শতাধিক কর্মচারী মারা গেছে এবং আরও অন্তত ২০০ জন গুরুতর অসুস্থ বলে দাবি করা হয়েছে রিট আবেদনে।
high court
হাইকোর্ট। স্টার ফাইল ফটো

কোয়ার্টজ পাউডারের ধূলিকণা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কি না এবং ক্ষতিকর হলে, কতটা ক্ষতিকর তা খতিয়ে দেখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকায় কারখানার কাজে ব্যবহৃত কোয়ার্টজ পাউডার উৎপাদনকারী রহিম স্টিল মিলের একটি স্টোন ক্রাশিং কারখানার ধুলার কারণে শতাধিক কর্মচারী মারা গেছে এবং আরও অন্তত ২০০ জন গুরুতর অসুস্থ বলে দাবি করা একটি রিট আবেদনের শুনানিকালে আদালত এই আদেশ দেন।

বিএসএমএমইউর অধ্যক্ষকে কোয়ার্টজ পাউডার থেকে উৎপাদিত ধূলিকণা পরীক্ষা করার জন্য একজন সিনিয়র অধ্যাপককে দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে এবং ৩০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. লুৎফুর রহমানের দায়ের করা রিট আবেদনটির ওপর শুনানি করেন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এসএম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

রিট আবেদনে মারা যাওয়া প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে এবং ঘটনা তদন্তে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় যৌথ তদন্ত কমিটি গঠনের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানান লুৎফর।

রিট আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার নেওয়াজ মোর্শেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষের পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পর হাইকোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।

Comments