লিবিয়ায় প্রবাসীকে অপহরণের পর বিকাশে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। 
ঢাকা ও চাঁদপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পাবনা জেলা পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

কাজের সন্ধানে লিবিয়া গিয়েছিলেন পাবনার বাসিন্দা মাসুদ। সেখানে তাকে অপহরণের পর দেশে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র। বলা হয়, চক্রের বাংলাদেশি এজেন্টদের কাছে মুক্তিপণের টাকা দিতে। মুক্তিপণ আদায়ে মাসুদকে নির্যাতনের ভিডিও দেখানো হয় তার পরিবারকে।

ভুক্তভোগী পরিবার শেষ পর্যন্ত অভিযোগ দিলে অপহরণকারীদের দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পাবনা জেলা পুলিশ। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—চাঁদপুর জেলার মতলব দক্ষিণে বাসিন্দা হাবিবুর রহমান সুমন (৩০) ও রবিউল আওয়াল রবি (২৮)।

আজ শুক্রবার পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলি মুন্সি দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঢাকা ও চাঁদপুর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থ লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। 

পুলিশ সুপার বলেন, 'মো. মাসুদ হোসেন (৪০) গত ৪ বছর ধরে লিবিয়ার সিটি খলিফা এলাকায় ব্যবসা করছেন। গত ১৩ মে সকালে অজ্ঞাত নম্বর থেকে তার স্ত্রীর ইমো নম্বরে ফোন করে বলা হয় যে তার স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে, তাকে উদ্ধারে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। অপহরণকারীরা  টাকা পাঠানোর জন্য বাংলাদেশি একটি বিকাশ নম্বরও দেয়।'

'মাসুদের বাবা ধার-দেনা করে অপহরণকারীদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ১০ লাখ টাকা পাঠায়। এরপর চক্রটি ২০ মে আবার ফোন করে আরও ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং মাসুদকে মারধরের ভিডিও পাঠায়,' বলেন এসপি আকবর আলি।

তিনি বলেন, 'পরিবারের পক্ষ থেকে পাবনা সদর থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তথ্য প্রযু্ক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে।' 

এসপি আরও বলেন, 'গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে লিবিয়ার অপহরণকারীদের পূর্ব পরিচয় আছে। লিবিয়ার অপহরণকারীদের পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হচ্ছে না।'

আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ইন্টারপোলের সাহায্যে অপহৃতকে উদ্ধার করা হবে বলে জানান এসপি।

Comments