পুলিশ সদস্যকে পেটানোর অভিযোগে আ. লীগ নেতা গ্রেপ্তার

এম এ জলিল। ছবি: সংগৃহীত

ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা, আসামি ছিনিয়ে নেওয়া এবং পুলিশ সদস্যকে পেটানোর অভিযোগে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এম এ জলিলসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত ‌আরেক জন হলেন- কাপাসিয়া উপজেলার উজলী দিঘির পার গ্রামের ফাইজ উদ্দিন (৫৫)।

আজ বৃহস্পতিবার ভোররাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কাপাসিয়া থানার ডিউটি অফিসার এস আই রাশেদ মিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পুলিশ সদস্যকে পেটানোর অভিযোগে টোক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ জলিল ও তার সহযোগী ফাইজ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, টোক ইউনিয়নের উজলী দিঘিরপাড় বাজারে কোরবানির পশুর হাট নিয়ে দ্বন্দ্ব নিরসনে ইউএনও ও পুলিশ কনস্টেবলকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় টোক তদন্তকেন্দ্রের এ এস আই লুৎফুল রহমান বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২৩ জনের নামে মামলা করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল বিকেলে কাপাসিয়ার উজলী দিঘিরপাড় বাজারে ইজারা না নিয়ে গরুর হাট বসে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান ওই  হাটের ইজারাদারকে হাট সরিয়ে নিতে বলেন।  এ সময় ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই আব্দুল জব্বারের ছেলে বাজার ইজারাদার আমান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করতে বলেন ইউএনও। পরে উত্তেজিত জনতা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আ. জলিলের নেতৃত্বে পুলিশের কাছ থেকে আমান উল্লাহকে ছিনিয়ে নেয় ও পুলিশকে পেটানো শুরু করে।

এ বিষয়ে ইজারাদার আমান উল্লাহর ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম লুৎফর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা এবং আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায়  পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। ওই ঘটনায় জলিল চেয়ারম্যানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।

Comments

The Daily Star  | English
NCP protest rally for election commission reform

NCP to hold protest rally in front of EC demanding its reconstitution

Calls on govt to hold local elections without delay

1h ago