আনভীরকে দায়মুক্তি দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
কলেজশিক্ষার্থী মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ সব আসামিকে দায়মুক্তি দিয়ে আদালতে জমা দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনবেন হাইকোর্ট বিভাগ।
আজ সোমবার বিচারপতি শহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল গ্রহণ করেন।
২০২১ সালের ২৬ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারত জাহান মুনিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় তার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া বাদী হয়ে আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন।
তদন্তে আনভীরের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে পুলিশ ওই বছরের ১৯ জুলাই দায়মুক্তি দিয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
পরবর্তীতে মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তানিয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ আরেকটি মামলা করেন।
মামলায় আনভীরকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলমসহ আরও ছয়জনকে মামলার আসামি করা হয়। তারা হলেন-শাহ আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা, সাইফা রহমান মিম, ইব্রাহিম আহমেদ রিপন ও তার স্ত্রী শারমিন।
মামলা থেকে সায়েম সোবহান আনভীরসহ আটজনকে দায়মুক্তি দিয়ে ওই বছরের ১২ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গত ২০ মার্চ ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ মুনিয়ার বোন তানিয়ার করা অনাস্থা আবেদন খারিজ করে পিবিআইয়ের চূড়ান্ত (তদন্ত) প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
এরপর নুসরাত জাহান তানিয়ার করা আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ তদন্ত প্রতিবেদন গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি করতে সম্মত হন।
তানিয়ার আইনজীবী সারোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাইকোর্টের আদেশে মুনিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলাটি আবার চালু হচ্ছে। হাইকোর্ট পরবর্তীতে আপিলের ওপর শুনানি করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।'
'আশা করি, আপিল শুনানি শেষে পুলিশকে মামলার অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেবেন আদালত,' যোগ করেন তিনি।
এই আইনজীবী আরও বলেন, 'পিবিআইয়ের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনেও মামলা পরিচালনার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ ও অপরাধের তথ্য আছে।'
তিনি বলেন, 'হত্যার আগে মুনিয়া অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।'
বার্ষিক ছুটির পর আদালত পুনরায় খোলার পর তিনি শুনানির জন্য হাইকোর্টে আপিল করবেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ছুটি হবে এবং ২০ অক্টোবর আদালত চালু হবে।
Comments