রেনুকে পিটিয়ে হত্যা: ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের যাবজ্জীবন

তাসলিমা বেগম রেণু। ফাইল ছবি

পাঁচ বছর আগে রাজধানীর বাড্ডায় আলোচিত তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লাকে। আর যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন—রিয়া বেগম, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন ও আসাদুল ইসলাম।

আজ বুধবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুরশিদ আহম্মেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

এর পাশাপাশি বিচারক সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। অনাদায়ে তাদের আরও এক বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

রায়ে বিচারক বলেন, প্রসিকিউশন সন্দেহাতীতভাবে পাঁচজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছে এবং তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অন্য আসামি মহিন উদ্দিন, শাহীন, বাচ্চু মিয়া, বাপ্পী, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, বিল্লাল মোল্লা ও রাজুকে খালাস দেওয়া হয়।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। মামলায় বাদীসহ ১৯ জন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

২০২১ সালের ১ এপ্রিল একই আদালত এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

২০১৯ সালের ২০ জুলাই সাড়ে চার বছরের তুবা ও পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া তাসিন আল মাহিরের মা ৪০ বছর বয়সী রেনু তুবার ভর্তির বিষয়ে খোঁজখবর নিতে বাড্ডার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান।

কিন্তু শিশু অপহরণকারী সন্দেহে একদল উন্মত্ত জনতা রেনুকে স্কুলের গেটের সামনে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। মোবাইল ফোন ও সিসিটিভিতে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকশ লোকের জমায়েতে কিছু তরুণ তাসলিমাকে লাথি মারছে, আঘাত করছে। অন্যরা ছিলেন নির্বাক দর্শক।

এ ঘটনায় রেনুর ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ হামলাকারীকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

তদন্ত শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক প্রাপ্তবয়স্ক ১৩ জনের নামে একটি ও  অপ্রাপ্তবয়স্ক দুই আসামির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

দুই অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামির বিচার চলছে ঢাকার শিশু আদালত-৭ এ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus off to Japan on four-day official visit

The chief adviser left Hazrat Shahjalal International Airport for Tokyo at 2:10am

6m ago