পূজামণ্ডপে সংগীত পরিবেশন: রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না খতিয়ে দেখছে পুলিশ

যদি কোনো অপতৎপরতা বা অসৎ উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

চট্টগ্রাম নগরীর একটি পূজামণ্ডপে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ইসলামি সংগীত পরিবেশনের ঘটনায় রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার দুপুরে নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) রইছ উদ্দিন এই তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'পূজামণ্ডপে সন্ধ্যার পর থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে দর্শনার্থীরা এসেছিলেন, তারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলেন। এক পর্যায়ে ওই মণ্ডপের পূজা উদযাপন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল দত্তে অনুরোধে চট্টগ্রাম কালচারাল অ্যাকাডেমির কিছু শিল্পী স্টেজে গান পরিবেশন করেন। তারা দুটি গান পরিবেশন করে, তার মধ্যে একটি গানের শব্দ উপস্থিত দর্শনার্থী ও পূণ্যার্থীদের কাছে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত মনে হয়।'

'দ্রুত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। আমাদেরও নজরে আসে এবং আমরা তাৎক্ষণিকভাবে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেই। যে ছয়জন গান পরিবেশন করেছিল, সারা রাত অভিযান পরিচালনা করে তাদের মধ্যে দুইজন—নুরুল করিম ও শহীদুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তাদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল? এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্য ছিল কি না? তাদের কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেই বিষয়টিও যাচাই করা হচ্ছে। প্রতিটি বিষয় তদন্ত করে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি,' বলেন তিনি।

বাকিদের আটকে পুলিশ অভিযান পরিচালনা করছে বলেও জানান রইছ উদ্দিন।

তিনি আরও বলেন, 'দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদি কোনো অপতৎপরতা বা অসৎ উদ্দেশ্য থাকে, তাহলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। এখনো মামলা হয়নি, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।'

সজল দত্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকের চেষ্টা চলছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'তাকে আমরা পাইনি। এই ঘটনায় যারাই জড়িত, তারা অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে।'

জিজ্ঞাসাবাদ এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে রইছ উদ্দিন বলেন, 'এখন পর্যন্ত জানা গেছে তারা বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক। শহীদুল ইসলাম তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসার শিক্ষক ও নুরুল করিম দারুল ইরফান অ্যাকাডেমির শিক্ষক।'

Comments